সত্যি
বলতে লেবু চেনেন না এমন লোক হয়তবা খুব কম মানুষই খুজে পাওয়া যাবে। ছোট-বড়
সবাই লেবুর শরবত পান করেন। বিশেষ করে এই রমজান মাসে ইফতারের সময়। যেন লেবুর
শরবত ছাড়া আমাদের ইফতার ঠিক জমে উঠে না। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে,
অন্যান্য সময় দেখা যায় লেবু না খেতে খেতে এই লেবুই আমাদের ডাইনিং টেবিলে
শুকিয়ে যায়। নানান অজুহাত দেখিয়ে কোন ঠাসা করে দিয়েছি আমরা এই লেবুকে।
কিন্তু যদি আপনি এই লেবুর পুষ্টিগুন সম্পর্কে ভালো-ভাবে জানেন তাহলে হয়তবা
লেবু খাওয়াটা আপনার প্রতিদিনের একটা অভ্যাসে পরিণত হবে। আর আমিও সেটাই চাই
যেন আপনাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মুলত এই লেবু অন্যান্য যে কোন ফলকে
টেক্কা দিতে পারে পুষ্টিগুনের দিক থেকে। যাহোক, আসুন বেশী কথা না বলে এর
পুষ্টিগুন নিয়ে আলোচনা করি।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ
লেবুতে
আছে প্রচুর পরিমাণে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি আর পটাশিয়াম। আছে আরো কিছু
প্রয়োজনীয় উপাদান। তবে ভিটামিন সি আর পটাশিয়াম মিলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রনে কাজ করে। এছাড়া লেবুর পটাশিয়াম হৃৎপিন্ডের কর্মক্ষমতাও বাড়ায়।
মানসিক চাপঃ
লেবুর
রসের ভিটামিন সি দূর করে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা। মানসিক বিষন্নতায়
শারীরবৃত্তীয় কারণেই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দেখা দেয় দেহে। লেবুর রস সেটি
পূরণ করে খুব নিমিষেই। যার ফলে চাঙ্গা হয়ে ওঠে মন।
সুন্দর ত্বকের জন্যঃ
ত্বকের
ক্ষত পূরণে লেবু ভারি কার্যকর। লেবু ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ফলে ত্বক হয় আরো উজ্জল ও কোমল। ত্বকের পোড়া ভাব যেমন দূর করতে পারে ঠিক
তেমনি চোখের চারিপাশের কালো দাগও মিলিয়ে দিতে পারে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ
রক্তে
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে উল্লেখযোগ্য কাজ করে লেবুর রস। এটি শরীরের
উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা যেমন বাড়িয়ে দেয় ঠিক তেমনি ভাবে ক্ষতিকর
কোলেস্টেরল রাখে নিয়ন্ত্রনে।
সুস্থ দাতেঁর জন্যঃ
তাজা
লেবুর রস দাতেঁর ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে
লেবু খুব কার্যকর। আর দাঁতে প্লাক জমার কারণে যে অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ পড়ে, তা
সরাতেও লেবুর রস সাহায্য করে।
কোন মন্তব্য নেই:
Write commentsThanks for your comment!!