http://protoster.blogspot.com/

সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৩

দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?

দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
 
দাঁতের যন্ত্রণায় যারা ভোগেন তারাই জানেন এর মতো আর কোনো যন্ত্রণায় এত কষ্ট পেতে হয় কিনা ! বাপের নাম ভুলিয়ে দেয় এই দাঁত যন্ত্রণা।
দাঁতের যন্ত্রণা যখন শুরু হয় তখন মনে হয়না কারো সঙ্গে কথা বলি। তখন ভালো কথা বললেও রাগে শরীর জ্বলে যায়। দুপ করে রাগে জ্বলে ওঠে মাথা। আর যিনি এই ভালো কথাগুলো বলতে গিয়ে ধমক খেলেন তিনি ভাবেন -কী এমন খারাপ কথা বললাম যে রেগে গেল ?!
আসলে দোষ তারও না , আপনারও না। দোষ হল গিয়ে দাঁতের
চলুন দেখি দাঁতকে সোজা করা যায় কিনা ! ব্যাটা বড় বাড় বেড়েছে। দাঁড়াও ঠান্ডা করছি তোমাকে।
তার আগে বলে নিই কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে এটা করার মনস্থ করেছি। হ্যাঁ গত পর্বের মতো এপর্বেও সাহায্য করবে সেই অ্যাকিউপ্রেসার। বুঝতে পেরেছেন তো ? কি বললেন- মাথায় ঢুকলো না কিছু। আচ্ছা বুঝেছি , আপনি আমার আগের পর্ব পড়েন নি। বেশ তাহলে এখান থেকে পড়ে নিন তাহলে এপর্বটা বুঝতে সুবিধা হবে।
বেশ তাহলে পড়ে নিয়েছেন। তাহলে এপর্বে আর অ্যাকিউপ্রসার নিয়ে আলোচনা না করে সরাসরি দাঁতের ব্যথার নিরাময়ে ঢুকে গেলাম।
দেখুন এই হল আপনার দাঁত।

আমি যেভাবে দাঁতের নাম্বারিং করেছি সেটা লক্ষ করুন
মানে হল মুখের একেবারে সামনে  মাঝখানে যে দুটো দাঁত আছে তার একটা আপনার বামপাশে আর একটা ডানপাশে।ডানদিকে আপনার যে দাঁতের সারি এটা তাঁর একনম্বর দাঁত।এরপরেরটা ২ , তার পরেরটা ৩ , তার পরেরটা ৪ ……।এইভাবে গুনতে হবে। বাদিকের দাঁতের সারিও এইভাবেই গুণতে হবে । নিচের পাটির দাঁতও  এইভাবে গুণতে হবে।

এবার নিচে হাতের ছবি দেখুন।
undefined
A= তর্জনী
B=মধ্যমা
C=অনামিকা
D=কণিষ্ঠা
এখন কতগুলি জলের মতো সহজ জিনিস আপনাকে কষ্ট করে মনে রাখতে হবে।
১।বাদিকের উপরের পাটি বা নিচের পাটি দুটোর জন্যেই বাদিকের হাত।
২।ডানদিকের উপরের পাটি বা নিচের পাটি দুটোর জন্যেই ডানদিকের হাত।


১,২ নং দাঁতের জন্যে A বা তর্জনী
,৪ নং দাঁতের জন্যে B=মধ্যমা
৫,৬ নং দাঁতের জন্যে C=অনামিকা
 ৭,৮ নং দাঁতের জন্যে  D=কণিষ্ঠা
সেটা উপরের পাটি বা নিচের পাটির দাঁত যাই হোক না কেন।
ধরুন আপনার কোনো একটি দাঁত যন্ত্রণা করছে আপনি প্রথমে জিভ ( জিহ্বা) দিয়ে গুনে ফেলুন কোন দাঁতটা যন্ত্রণা করছে। ধরুন গুনে দেখলেন আপনার বাদিকের উপরের পাটির  ৩ নং দাঁতটা যন্ত্রণা করছে ।  তাহলে আপনাকে  বাহাতের মধ্যমা , এই আঙুলটাকে এইভাবে ছবির মতো চিপে ধরতে হবে। যাতে একটু লাগে।
কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে দেখবেন আপনার দাঁতের যন্ত্রণা কমতে শুরু করেছে । যতক্ষণ আপনি সহ্য করতে পারবেন ততক্ষণ চিপে ধরে থাকুন। বা আপনি যদি না পারেন তবে কাউকে চিপে ধরে রাখতে বলুন আপনার সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী। বা আপনি কোনো ক্লিপ নিচের ছবির মতো আঙুলে দিয়ে রাখতে পারেন(তবে এমন কিছু করবেন না যাতে আঙুলে রক্ত জমে যায় বা অন্য কোনো সমস্যা শুরু হয় এবং সবটাই হবে আপনার সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী।)

ধরুন আপনার ডান দিকের  নিচের চোয়ালের  ৮ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে ডানহাতের কণিষ্ঠা (D)  আঙুল চিপতে হবে।
ধরুন আপনার বাদিকের নিচের চোয়ালের ১ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে বাহাতের তর্জনী (A) আঙুল চিপতে হবে
বাদিকের  উপরের চোয়ালের  ৪ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে বাহাতের মধ্যমা (B) আঙুল চিপতে হবে
ডানদিকের  উপরের চোয়ালের ৫ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে ডান হাতের  অনামিকা (C) আঙুল চিপতে হবে
আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
তবে শিরোনামটা ভালোভাবে খেয়াল করবেন আমি বলেছি “দাঁত যন্ত্রণা : ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে”
সেরে যাবে বলিনি।এটা আপনাকে দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করবে।
তবে আপনাকে কতকগুলো টিপস আমি দিতে পারি
১। দিনে অন্ততঃ তিনবার দাঁত মাজুন। সকালে রাত্রে দুই বার ব্রাশের সাহায্যে। আর দিনের কোনো একটা সময়ে আঙুলের সাহায্যে। আঙুল দিয়ে মাজার ফলে দাঁত ও দাঁতের গোড়ায় মেসেজ হয়ে যাবে যা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করবে।
২। ব্রাশ দিয়ে মাজার সময় বেশি করে উপর নিচ অনুযায়ী মাজুন। আর্থাৎ উপরের পাটির দাঁত থেকে নিচের পাটির দাঁতের দিকে। এরপর পাশাপাশি মাজুন। এরপর দাঁতের ভিতরের দিকটাও মেজে নিন।
৩। আর এবার যেটা বলব সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ-রাত্রে খাবার পর দাঁতমাজার পরে একগ্লাস গরম জল করে তার মধ্যে আড়াই চামচ মতো লবণ বা যতটুকু আপনি সহ্য করতে পারবেন ততটুকুই লবণ দিয়ে কুলকুচি করে ফেলেদিন।এতে আপনার মুখ ও দাঁত জীবানমুক্ত ও দীর্ঘজীবি হবে। (তবে সাবধান –যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেসার আছে তারা এটা করতে যাবেন না বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করবেন।)

কোন মন্তব্য নেই:
Write comments

Thanks for your comment!!