http://protoster.blogspot.com/

শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

সরকারি ও বেসরকারি চাকরির মধ্যে বেঁছে নিবেন কোনটি?

পড়াশোনা শেষ করার পর সকলেরই ইচ্ছা থাকে নিজের পড়াশোনা ও যোগ্যতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ চাকুরি করবে। যেহেতু চাকুরি অন্য যেকোনো পেশার চেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নিশ্চিত আয়ের উপায় তাই প্রত্যেকেই চাকুরিকে অন্যান্য পেশার চেয়ে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
চাকুরি মুলত দু’ধরণেরই দেখা যায় যা হল সরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহে চাকুরি যা সরকার প্রদত্ত নিয়ম-কানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং অন্যান্য সকল চাকুরি বেসরকারি চাকুরির অন্তর্গত যা সাধারণত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়ম-কানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
সরকারি চাকুরি অনেকের নিকটই পছন্দনীয় কেননা সরকারি চাকুরিতে রয়েছে নিশ্চয়তা এবং সেই সাথে রয়েছে অনেক ধরণের সুবিধা যা বেসরকারিতে পাওয়া যায় না। একটি কথাই আছে ‘সরকারি চাকুরি পাওয়াও কষ্ট ছাড়াও কষ্ট’ এর অর্থ হল যে কেউ সহজেই সরকারি চাকুরি পায় না আবার পেলে তা সহজে ছাড়াও যায় না কেননা কোন নির্দিষ্ট কারন ছাড়া চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা যায় না। সরকারি চাকুরিতে পাওয়া যায় বাসস্থান, পরিবহন ও চিকিৎসা সুবিধা।

এছাড়াও থাকে পদোন্নতির সম্ভাবনা।পদোন্নতির সাথে সাথে সুযোগ সুবিধাও বৃদ্ধি পায়। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হল সরকারি চাকুরি হল সম্মানের তা যেরকমই হোক না কেন। তাই সকলের নিকট সরকারি চাকুরির রয়েছে আলাদা চাহিদা। সরকারি চাকুরির সাধারণত নির্দিষ্ট একটি বয়স সীমা থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে এটি ৩০-৬০ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ৩২-৬২ বছর। সরকারি চাকুরির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল পেনশন সুবিধা। এটি মুলত অবসরের পর দেয়া হয় যা প্রতিটি গভর্নমেন্ট জবের জন্য বাধ্যতামূলক। এছাড়াও সরকারি চাকুরিতে থাকার আরেকটি সুবিধা হল চাকুরি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অনেকেই ভাল প্রতিষ্ঠানে অনেক ভাল পজিশনে চাকুরির সুযোগ পান। এক্ষেত্রে সরকারি চাকুরির অভিজ্ঞতা চাকরি পেতে সাহায্য করে।
সরকারি চাকুরি পছন্দনীয় হলেও অনেকেই বেসরকারি চাকুরিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে কেননা সরকারি চাকুরির তুলনায় বেসরকারি চাকুরির নিয়ম কানুন অনেকটা সহজ। সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে যেমন নির্দিষ্ট বয়স সীমা রয়েছে, বেসরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে সাধারণত তা থাকেনা। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর নিজস্ব কিছু নিয়ম কানুন থাকে যার দ্বারা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। বেসরকারি চাকুরির সুবিধা হল এতে যোগ্যতা অনুযায়ী অনেক ভাল পজিশনে চাকুরি করা যায় এবং অবশ্যই ভাল বেতনের বিনিময়ে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তার কর্মীদের পরিবহন ও চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে থাকে। এ কারনেই অনেকে সরকারি চাকুরির থেকে বেসরকারি চাকুরি বেশি পছন্দ করে। আরেকটি সুবিধা হল বেসরকারি চাকুরিতে যেকোনো সময় পরিবর্তন করা যায়। অর্থাৎ আপনি চাইলে যে চাকুরি করছেন তার চেয়ে ভাল সুযোগ পেলে অন্য জায়গায় সেখানে চলে যেতে পারেন, যা সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে সম্ভব না। বেসরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনি অনেক দ্রুত ভাল পজিশনে যেতে পারেন। সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে পদোন্নতির বিষয়ে বয়োজ্যেষ্ঠটা প্রাধান্য পায় কিন্তু বেসরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে তা নয়। বেসরকারি চাকুরিতে বেতন ভাল হওয়ার সাথে সাথে আপনি গ্রাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড সুবিধা পাবেন যা আপনার অবসর জীবনের সম্বল হতে পারে। বেসরকারি চাকুরির সুযোগ অনেক বিস্তৃত। যার কারণে বর্তমানে সরকারি চাকুরির পাশা পাশি বেসরকারি চাকুরি সকলের নিকট অনেক গ্রহণযোগ্য।

নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান সকলেরই কাম্য। বর্তমান চাকুরির বাজারে তা অনেক দুরূহ একটি ব্যাপার। প্রত্যেকেরই উচিত নিজেকে সুযোগ্য করা যাতে সে সহজেই তার কর্মসংস্থান করতে পারে। সরকারি না বেসরকারি কোনটি আপনি বেঁছে নিবেন তা সম্পূর্ণই আপনার ব্যাপার। তবে সব অপশনই খোলা রাখা উচিত এবং চেষ্টা করে যাওয়া উচিত।

কোন মন্তব্য নেই:
Write comments

Thanks for your comment!!