http://protoster.blogspot.com/

বুধবার, ১ মার্চ, ২০১৭

দিনে তিন নয়, ১০ বার খান



দীর্ঘজীবনের জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে। এ জন্য খাওয়াদাওয়া এবং জীবনযাপনে সচেতন থাকে অনেকে। মানুষ কীভাবে দীর্ঘজীবী হতে পারে কিংবা কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে, সে বিষয়ে গবেষণারও শেষ নেই। তেমনি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন নানা ধরনের ৮০০ গ্রাম ফল ও শাকসবজি খেলে বাড়ে দীর্ঘজীবী হওয়ার সম্ভাবনা।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে নানা ধরনের ৮০০ গ্রাম ফল, শাকসবজি খেলে দীর্ঘজীবী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে এই সমপরিমাণ ফল, শাকসবজি একেবারে না খেয়ে দিনে কয়েক দফা অর্থাৎ ১০ বারে খেতে হবে। সে জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি খেতে হবে একবারে মাত্র ৮০ গ্রাম করে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, এভাবে খাদ্যাভ্যাসে মানুষ অভ্যস্ত হলে বছরে ৭৮ লাখ অকালমৃত্যু রোধ করা সম্ভব।
৯৫টি আলাদা গবেষণার তথ্য-উপাত্ত একত্রিত করে এ গবেষণায় ওই উপসংহারে পৌঁছেছেন গবেষকেরা। গবেষণায় সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষের খাদ্যাভ্যাসের চিত্র উঠে এসেছে। 

ইমপিরিয়াল কলেজের গবেষকেরা বলছেন, এভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে বিশ্বের প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ অপরিণত বয়সে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে। তাঁরা বলছেন, এমন কিছু ফল ও সবজি আছে, যেগুলো খেলে ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সবুজ শাকসবজি, হলুদ রঙের সবজি ও ফুলকপিজাতীয় সবজি খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা আরও বলছেন, হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর জন্য আপেল, নাশপাতি, লেবুজাতীয় ফল, সালাদ, সবুজ শাকসবজি (যেমন লেটুসপাতা) ও বাঁধাকপি-জাতীয় সবজি বেশ কার্যকর হতে পারে।
তবে প্রতিদিন ৮০০ গ্রামের বেশি ফল ও সবজি খেলে স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি উপকার হবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন গবেষকেরা।
এ গবেষণার ফলাফল ইপিডেমিওলোজি জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৮০ গ্রাম ওজনের ফল বা সবজি বা এর সমপরিমাণ ওজনের একটি কলা, নাশপাতি, শাক বা ডাল হলেও এ ক্ষেত্রে চলবে।
দিনে কোনো ফল বা সবজি না খেলে কী হতে পারে, তা-ও দেখিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, দিনে ২০০ গ্রাম ফল খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে ১৩ শতাংশ এবং ৮০০ গ্রামে কমে ২৮ শতাংশ। ২০০ গ্রাম ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে ৪ শতাংশ এবং ৮০ গ্রামে কমে ১৩ শতাংশ। ২০০ গ্রাম ফল খাওয়ার ফলে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমে ১৫ শতাংশ এবং ৮০০ গ্রামে ঝুঁকি কমায় ৩১ শতাংশ।

কোন মন্তব্য নেই:
Write comments

Thanks for your comment!!