http://protoster.blogspot.com/

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

শরীরচর্চার জন্য একটু সময় বের করে নিতে হবে


নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে!


“ব্যায়াম করার সময় পাই না” স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে আলোচনায় বসলে এই কথা শোনা যাবেই। ব্যস্ত জীবনে কথাটি পুরোপুরি মিথ্যাও নয়, তবে অভ্যাসে তৈরি করতে দরকার চর্চা।
আর পুরোটাই নির্ভর করে আপনার উপর। তাই ব্যস্ত জীবন থেকে শরীরচর্চার জন্য একটু সময় বের করে নিতে হবে, নিজের স্বার্থেই। উপায় জানাচ্ছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
বাড়তি নড়াচড়া: প্রতিদিনের রুটিন যাই হোক না কেনো, আলসভাব ঝেড়ে ফেলে নড়াচড়ায় মধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এতে শরীর এবং বিপাক প্রক্রিয়া কর্মঠ ও সচল থাকবে। মাঝে মধ্যে অফিসে ওঠার সময় লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
হাঁটাহাঁটি: গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিক্সা, বাস যে যানবাহনেই অফিস যান না কেনো অফিসের গেইট থেকে একটু দূরে নেমে হেঁটে অফিস যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রয়োজনে গেইট থেকে সবচাই দূরের পার্কিংয়ের স্থানে গাড়ি বা মোটরসাইকেল রাখতে হবে।
এক জায়গায় জগিং: অফিস কিংবা বাসায় একস্থানে দাঁড়িযে জগিং করতে পারেন। এসময় হালকা পড়াশোনা বা অফিসের ফাইলপত্রে চোখ বুলিয়েও নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে অফিসের কারও যেন বিরক্তির কারণ না হন।
ভার উত্তোলন: ওজন ওঠানো মানে ব্যায়ামাগারে গিয়ে ভারী ডাম্বেল ওঠানো নয়। বাজারের ব্যাগ বয়ে আনা, ঘর পরিষ্কারের সময় সোফা, খাট ইত্যাদি নড়ানো বা ওঠানো ইত্যাদি গৃহস্থালী খুঁটিনাটি কাজে সেচ্ছায় হাত লাগান। কিংবা টিভি দেখা বা ফোনে কথা বলার সময় এক হাতে হালকা কোনো ওজন ওঠাতেও ক্ষতি নেই।
বাইরে কাজ: ঘরের বাইরের খুঁটিনাটি কাজগুলো স্বাস্থ্যবান থাকার একটি ভালো উপায়। পোর্কে হেঁটে আসা, দোকান থেকে কিছু কিনে আনা, প্রতিবেশির সন্তানের সঙ্গে হালকা খেলাধুলা ইত্যাদি। ইচ্ছা থাকলে আরও অনেক উপায় বের হবে আপনার মাথা থেকেই।
দলে যোগ দেওয়া: আপনার মতোই সুস্থ-সুঠামদেহ চায় এমন দলে যোগ দিন। এতে অনুপ্রেরণা পাবেন, পাশাপাশি বেরিয়ে আসবে সুস্থ থাকার আরও অনেক উপায়।

কোন মন্তব্য নেই:
Write comments

Thanks for your comment!!