http://protoster.blogspot.com/

সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৩

ভিটামিন সি | চোখের ছানি | এবং প্রতিরোধে আমলকি ।

যাদের খাবার-দাবারে ভিটামিন “সি” এর পরিমান কম থাকে তাদের চোখে ছানিপড়ার ঝুকি বেশি থাকে। চোখের লেন্সে মেঘের মত আবছা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ছানি। বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে চোখের ছানি তাদেরকে দৃষ্টিহীন করে তোলে । তবে সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গেছে । যারা বেশি পরিমান ভিটামিন ‘সি’ ও এন্টিঅক্সাইডেন্টস গ্রহন করে তাদের এ পরিস্থিতির শিকার হওয়ার ঝুকি কম । বাংলাদেশের মত স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে মানুষের মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ এর মাত্রা খুব কম এবং চোখে ছানিপড়ার হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি । ষাট বছরের বেশি বয়সের ৫৬০০ ভারতীয়ের চোখের ছানির মাত্রার উপর এই গবেষনা চালায় গবেষকরা । তাদের খাবার দাবার ও জীবনাভ্যাস সম্পর্কে সাক্ষাতকার নেয়া হয় এবং তাদের রক্তে ভিটামিন “সি” র মাত্রা পরিমাপ করা হয় । সার্বিক ভাবে প্রায় ৭৩ শতাংশ অংশগ্রহনকারির চোখে ছানিপড়ার সমস্যা দেখা গেছে । কিন্তু যাদের রক্তে ভিটামিন “সি”র মাত্রা বেশি এবং ভিটামিন “সি” গ্রহনের প্রবনতা বেশি তাদের চোখে ছানিপড়ার ঝুকি অনেক কম লক্ষ্য করা গেছে । বয়স্ক মানুষের রক্তে ভিটামিন “সি”র মাত্রা বেশি থাকলে চোখে ছানিপড়ার ঝুকি ৩৯শং কমে যায় বলে গবেষনায় দেখা যায় ।।
|খবরঃ বিবিসি ও দৈনিক ভোরের ডাক|
আমাদের দেশে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে আমলকিতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন “সি”র উপস্থিতি পাওয়া যায় । আকারে ছোট ও মাঝারি এই ফল সহজলভ্য হওয়ায় আমাদের শরীরে ভিটামিন সি’র চাহিদা মেটায় । আমলকির বৈঞ্জানিক নাম Phyllanthus emblica officinalis । আমাদের অষ্ণলে যেসব জাতের আমলকি পাওয়া যায় তার মধ্যে বেনারসি আমলকি অন্যতম ।

আমলকি
প্রতি ১০০গ্রাম আমলকিতে আছেঃ
ভিটামিন সিঃ ১৪০০ মিঃগ্রাঃ
ভিটামিন বিঃ—-৩০ মিঃগ্রাঃ
পানিঃ———-৮১ গ্রাম
শ্বেতসারঃ——-১৪ গ্রাম
আমিষঃ——–০.৫ গ্রাম
আঁশঃ———-৩.৫ গ্রাম
আয়রনঃ——-১.৫ গ্রাম
খনিজ পদার্থঃ—০.৭ গ্রাম
স্নেহঃ———-০.১ গ্রাম
ক্যালসিয়ামঃ–০.০৫ গ্রাম
ফসফরাসঃ—-০.০২ গ্রাম
তাপশক্তিঃ——৫৯ কিলোক্যালরি।
আমলকি খেলে শরীরে ভিটামিন সি র অভাব পূরণ করে এবং পেটের পিড়া , কাশি ও হজমে উপকার করে । এছাড়া বিশেষব্যবস্থায় মাথায় দিলে অকালে মাথার চুল পাকা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।

রোজাদারের প্রতি ২০ পরামর্শ

পবিত্র রমজান মাস আসলে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ ভেদে প্রায় সকল মুমিন মুসলমান রোজা রাখেন। এক্ষেত্রে দীর্ঘ ১১ মাসের স্বাভাবিক আহার, নিদ্রা, নিয়ম-নীতির কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। এরপরও একজন রোজাদার কিছু পরামর্শ অনুসরণ করলে থাকতে পারেন সুস্থ, সবল এবং রাখতে পারেন সৃষ্টিকর্তার বড় নিয়ামত রোজা । কিভাবে রোজা রেখে সারাটি মাস সুস্থ থাকবেন এই নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সূত্রের আলোকে রোজাদারদের প্রতি আমাদের পরামর্শ।
  1. রমজানে যাদের চিকিত্সা নিতে হয় তারা এবং যারা সুস্থ থেকে রোজা পালন করতে চান তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে চিকিত্সার পরামর্শ নেয়া উচিত।
  2. রোজায় পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান গ্রহণ, পানি শূন্যতা রোধে পর্যাপ্ত পানি পান এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার।
  3. সেহেরীর সময় অতিরিক্ত আহার করবেন না। খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত আশ জাতীয় শর্করা খাবার রাখুন। বেশী আমিষ খান এবং খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে সবজি-ফল।
  4. দিনের গরমের সময় ঠান্ডা যায়গায় বিশ্রাম নিন। সম্ভব হলে শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দিন।
  5. ইফতারির সময় খেজুর, প্রচুর শরবত, দুধ, ফলের রস বেশী না খেয়ে মাগরিব এর পর হালকা খাবার যেমন স্যুপ ও অন্যান্য হালকা খাবার খেতে হবে। রক্তে চিনির মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে খাদ্য তালিকায় কিছুটা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য রাখুন।
  6. রাতের খাবারের ক্ষেত্রে সুষম খাদ্য তালিকা অনুসরণ করুন। অতিরিক্ত খাবার বর্জন করুন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
  7. চা, কফি, সোডা পান থেকে বিরত থাকুন।
  8. মৌসুমী ফল দিয়ে তৈরী ডেজার্ট খেতে পারেন।
  9. ইফতারির পর থেকে ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্ত অন্তত: ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
  10. সন্ধ্যায় হালকা ব্যায়াম যেমন: ১৫-২০ মিনিট হাটার অভ্যাস করুন।
  11. তেলে ভাজা খাবার ও অধিক মসলাযুক্ত ঝাল খাবার পরিহার করুন। এসব খাবারে বুক জ্বালাপোড়া ও হজমে সমস্যা হয়।
  12. প্রতিদিন অন্তত: ১টা মাল্টিভিটামিন সেবনের চেষ্টা করুন।
  13. কয়েক বার দাঁত পরিষ্কার ও ফ্লসিং করুন। (রোজাদারগণ এটা করে থাকেন)
  14. দিনে কয়েকবার হাত মুখ ওয়াশ করুন। (রোজাদারগণ এটা করে থাকেন)
  15. ধূমপান ত্যাগ করুন।
  16. পর্যাপ্ত ঘুমানোর জন্য আপনার ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।
  17. রোজা রেখে অধিক ও অপ্রয়োজনীয় আলাপ আলোচনা থেকে বিরত থাকুন।
  18. রোজায় যাদের অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, পেপটিক আলসার ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে তারা চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন বিধি পুন: নির্ধারন করুন।
  19. রোজা রেখে আকষ্মিক কোন অসুস্থতা যেমন; অতিমাত্রায় দুর্বলতা, অসস্থি থাকলে সম্ভব হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন অথবা ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করুন।
  20. গুরুতর অসুস্থতায় রোজা ভঙ্গের প্রয়োজন হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন অথবা শরীয়তের বিধান অনুসরণ করুন।
সূত্র : এখানে

যারা “পুদিনা পাতা” কে চিনেন না, তারা এবার চিনে নিন !!!

আমরা সবাই কম-বেশি “পুদিনা পাতা” সম্পর্কে জানি, অনেক জানি না। তবে বেশিরভাগই মোটামুটি জানেন। তবেই পুদিনা পাতার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। কিন্তু মজার বেশি হল এটা সম্পর্কে সবাই কম-বেশি জানলেও অনেকেই এটা দেখেন নি। আচ্ছা আপনারা কি মনে করেছেন, আমি টিউনারপেজে টিজে পুদিনা পাতা ভাইয়ের কথা বলছি ? যদি মনে করে থাকেন, তাহলে ভুল করেছেন। আমি বলছি, একটি ওষধি গাছ “পুদিনা পাতা” সম্পর্কে । চলুন আজ আমরা এই ওষধি গাছ সম্পর্কে জানব।

পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নাম— Mint, nana। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mentha Spicata। এটি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত।

পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।
এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পুদিনার ভেষজগুণ

পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো :
  • ১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
  • ২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
  • ৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
  • ৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।
  • ৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
  • ৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
  • ৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।
তাহলে এবার থাকে বেশি করে “পুদিনা পাতা” ব্যবহার করুন আর নিজে ঠিক থাকুন।

মস্তিষ্ক উন্নয়নে কিছু মজার টিপস…

আমার মতে সবার উপকারে আসবে এই টিউনটি পড়লে …

আমাদের প্রত্যেকেই চায়  যে আমাদের ব্রেইন যেন সব সময় সুস্থ থাকে সেই জন্য আমাদের সব চেয়ে যেটি প্রয়োজনীয় দেখার জিনিস সেটি হল আমাদের খাবার প্রণালী কারণ এটার উপর নির্ভর করে আমাদের ব্রেইনের সুস্থতা এবং উন্নতি ….নিন্মে দেয়া হল …
মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীদের মতে, কোলিনসমৃদ্ধ খাদ্য খেলে মেধাশক্তি বাড়ে। প্রতিদিন মস্তিষ্কের জন্য ৪০০-৯০০ মিলিগ্রাম কোলিন প্রয়োজন। একটি হাঁস বা মুরগির ডিমে ৪০০ মিলিগ্রাম, ছোট দু’টুকরা মাছ থেকে ১০০ মি. গ্রা. ৪-৫টি যকৃতের টুকরায় ৬০০ মি. গ্রা. কোলিন থাকে। এছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি, সয়াবিন, দুধ, বাদাম ইত্যাদি খাদ্যে প্রচুর কোলিন থাকে। বিশেষ করে সয়াবিন নিয়মিত খেলে শেখার, বুঝার ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। বৃদ্ধ বয়সে ভিটামিন ‘বি’-এর অভাব হলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে ডাল, শস্যদানা, বাদাম, সবুজ শাক-সবজি, চাল, গম, কলা, গাজর, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাদ্যে। ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে মস্তিষ্কের বাস্তবের সাথে বুঝার ক্ষমতা অনেকাংশে লোপ পায়। ভিটামিন সি বেশি থাকে আমলকি, পেয়ারা, আমড়া, আম, লেবু, বাতাবি লেবু, জলপাই ইত্যাদিতে। মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে আয়রনের প্রয়োজন। মস্তিষ্কের মধ্যে সবসময় শরীরে রক্তের প্রায় ২০ ভাগ রক্ত চলাচল করে। রক্ত শোধনের জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। রক্তের লাল রঙের উপাদান হিমোগ্লোবিন হলো অক্সিজেনের বাহক। আয়রন হচ্ছে হিমোগ্লোবিনের প্রধান সৃষ্টিকারী।
মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হলে মনোযোগ ও নতুন কিছু বুঝা বা শেখার আগ্রহ কমে যায় এবং মনের চঞ্চল ভাবটাও নষ্ট হয়। কথাবার্তায় আদব-কায়দা হ্রাস পায়। আয়রন বেশি থাকে কচুশাক, লালশাক, পালংশাক, কলা, নটেশাক, মূলাশাক, বরই, তরমুজ, বরবটি, গুড় ইত্যাদি খাদ্যে। এসব আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের সাথে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেলে সহজেই হজম হয়। বোরন ও জিংক স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপেল, আঙ্গুর, ডাব, টমেটো, গম, দুধ এসব খাদ্যে বোরন ও জিংক থাকে। ১০ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ালে স্মরণশক্তি বাড়ে। গর্ভবতী মহিলারা কোলিনসমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য খেলে গর্ভের শিশু মস্তিষ্ক গঠনের সময় স্মরণশক্তি ও বুদ্ধি বৃদ্ধির উপাদান সৃষ্টি হয়। বয়স্কদের জন্য মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তেল, চর্বি, ঘি জাতীয় খাদ্য স্মরণশক্তি হ্রাস করে। চর্বি জাতীয় খাদ্য উপাদান রক্তের সাথে মিশে গিয়ে মস্তিষ্কের অত্যন্ত সূক্ষ্মবাহী নালীগুলোর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল ব্যাহত করে। খাবারে মিশ্রিত কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ মানুষের স্মরণশক্তিকে মুছে ফেলে। মস্তিষ্কের প্রোটিন তৈরির সময় অ্যালকোহল বাধা দেয়। ফলে নতুন স্নায়ুকোষ জন্মাবার সম্ভাবনা চিরদিনের জন্যই বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমের ওষুধ স্মরণশক্তি হ্রাস করে।
***মস্তিস্ক সুস্থ রাখতে যা করনীয় তা হচ্ছেঃ
০ প্রতিদিন স্বাস্থ্য সম্মত সুষম খাবার খেতে হবে।
০ প্রতিদিন অন্ততঃ ৮ গ্লাস পানি পানসহ টি, কফি খেতে হবে অথবা রং চা তথা দূধ ছাড়া ।
০ মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং মাঝে মধ্যে মস্তিস্ককে অবসর দিতে হবে।
০ প্রতিদিন কোন ভালো ভিটামিন ও ব্রেইন সাপ্লিমেন্ট সেবন করা যেতে পারে।
০ প্রতিদিন মেসওয়াক করতে হবে জয়তুন গাছের ঢাল দিয়ে অথবা নিম গাছের ঢাল দিয়ে।
০সকালে নামাজের পর খোলা আকাশের নিচে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করা কারণ মনিষীরা বলে যে সকালের হাওয়াটা মানুষের জ্ঞানী হওয়ার এক অমূল্য সম্পদ।
০ আমাদের মুখ ও নাক  সব সময় পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার রাখতে হবে আমরা আরেকটি কথা হয়ত অনেকে জানি যে আমাদের শরীরের বাতাস আদান প্রদানে ফিল্টার মেশিন হল আমাদের নাকের লোম গুলো কেননা আমরা সারাদিন যে নিস্বাশ টানি তাতে বাহ্যিক  হাওয়া আমাদের শরীরে আদান প্রদান নাকের মাধ্যমে হয় এক্ষেত্রে নাকের লোম গুলো এবং নাকের ভিতরে একটি পর্দা থাকে যেটি   বাতাস ফিল্টার করে সুস্ক বাতাস আমাদের শরীরের ভেতর প্রবেশ করাতে সাহায্য করে….
***মস্তিষ্ক উন্নয়নে যা যা খেতে হবেঃ
০খাঁটি মধু প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে খেতে হবে।
০ মিস্টি জিনিস তথা খেজুর, সাদা মিস্টি মাঝে মাঝে খেতে পারেন কারণ মেডিকেল সাইন্স বলে মিস্টি জিনিস ব্রেইন উন্নয়নে সাহায্য করে ।
০ রান্নাকৃত  মসরের ডাল যাতে পানি বেশি থাকতে হবে অর্থাৎ ডালের পানি বেশি করে খেতে হবে।
০ পোড়া বাজা কম খেতে হবে এবং লাল মরিচ যুক্ত তরকারি কম খেতে হবে, এবং সবুজ শাক শবজি বেশি করে খেতে হবে।

ত্যাগ করুন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ১০ টি অভ্যাস

দৈনন্দিন আচার-অভ্যাসের মধ্যে কিছু কিছু এমন কাজ আছে যা ক্ষতিকর। একটু চেষ্টা করলেই স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর এসব বদভ্যাস থেকে মুক্ত হতে পারি আমরা। দেখে নিন এই অভ্যাসগুলো আপনার মধ্যে আছে কি না।

১. দেরিতে ঘুম থেকে উঠার কারণে বা অন্য ব্যস্ততার কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রায়শই মুখ ধুয়ে জামা-জুতো পরে আমাদের ছুটতে হয় কর্মেক্ষেত্রে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সকালে নাশতা খাওয়ার কথা বেমালুম ভুলে যেতে হয়। কিন্তু এ কথাটা ভুলে গেলে চলবে না- সকালের নাশতাটা হচ্ছে সারাদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোজন। চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পুষ্টি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দিয়ে সকালের নাশতাটা একটু ভালোমতো করে নিতে। এরপর দিনের বাকি সময়টুকুতে নির্দিষ্ট সময় পরপর ৪ থেকে ৫ বার ছোট পরিসরের কিন্তু পুষ্টিকর খাবার নিন। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর যে কোনও স্ন্যাক্সও চলতে পারে।
২. অনেকেই কফির সঙ্গে মাখনসমৃদ্ধ ক্রিমার খান। এর সঙ্গে থাকে দুধের অন্যান্য উপাদান আর সুগন্ধিযুক্ত চিনির সিরাপ। এই পানীয়টি দিনে এক বা দুই কাপ হলে ঠিক আছে। কিন্তু এর বেশি হলেই এ থেকে যোগ হওয়া বাড়তি ক্যালরি আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। মুটিয়ে যাওয়াসহ নানা স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় পড়তে পারেন এর ফলে। তাই সবচে ভালো হয় যদি ক্রিম কফিপ্রেমীরা দৈনিক কফি গ্রহণের মাত্রাটা দুই কাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন। পানীয়ের প্রয়োজনে যতটুকু সম্ভব পানি গ্রহণ করুন।
৩. দ্রুত খাওয়া শেষ করতে চাওয়া আজকাল প্রায় সবার মধ্যেই সংক্রমিত হয়ে গেছে। এভাবে গাপুস-গুপুস কায়দায় খাবার গ্রহণ করার বদভ্যাসটি এই মুহূর্তে ত্যাগ করুন। বিশেষ করে লাঞ্চের সময় পেরিয়ে যাওয়ার লগ্নে খাবার খেতে গিয়ে এই কাজটা বেশি হয়। এতে শাসনালিতে সমস্যাসহ দম আটকে তাৎণিক মৃত্যুও ঘটতে পারে। ‘ধর মুরগি কর জবাই’ ধরনের তাড়াহুড়ায় খাবার না খেয়ে হয়ে ধীর-স্থিরভাবে খাবারকে উপভোগ করে খেতে হবে।
৪. বেমানান ও বেসাইজের জুতো পরিধান করাও আপনার স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এ কারণে আপনার দৈনন্দিন হাঁটচলার সহজ স্বাভাবিক ভঙ্গিটি বদলে যেতে পারে যা আপনার জন্য হবে কষ্টকর আর অন্যদের চোখে হতে পারে হাস্যকর। মেয়েদের হাইহিল পরার ক্ষেত্রে বলা যায়, হয়তো আপনি ব্যথা অনুভব করছেন না, তারপরও দীর্ঘণ হাইহিল পরে থাকার কুপ্রভাব আপনার পা ও শরীরের ওপর পড়বেই। তাই যতটা সম্ভব বেখাপ্পা আর কিম্ভূত সাইজের এবং উঁচু হিলের বদলে আরামদায়ক এবং ফ্যাট হিলের জুতো বা স্যান্ডেল পায়ে দিন। এতে চলাফেরায় অহেতুক শারীরিক ঝুঁকি নেওয়া থেকে নিরাপদ থাকবেন আপনি।
৫. অনেকেই আলসেমির ফাঁদে রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে দাঁত মাজার মতো দরকারি কাজটাকে অবহেলা করেন। অবহেলাজনিত এই বদভ্যাসের দায় আপনাকে শোধ করতে হয় দাঁতে প্লাক সৃষ্টি, দাঁত ও মুখের নানাবিধ অসুখসহ পেটের পীড়া এবং গলার নানান অসুখ বাধানোর মাধ্যমে। এর সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে আপনাকে মনে রাখতে হবে রাতে দাঁত না মাজার ফলে দাঁত ও মাড়িতে আস্তানা গাড়া দন্তমল ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার অভয়ারণ্য তৈরি করবে আপনার মুখে। বিষয়টি সমগ্র মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় আপনার শিশুকেও রাতে দাঁত মাজার ব্যাপারে অভ্যস্ত করে তুলুন।
৬. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। কীভাবে? ঘুমের স্বল্পতা আপনার পরিপাক ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলার কারণে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস গড়ে উঠতে পারে। আর ভুলে গেলে চলবে না ওবেসিটি বা স্থূলতা রোগের মূল কারণগুলোর একটি হচ্ছে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস। দৈনিক অল্প ঘুমোনোদের অনেকেই আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একটানা দীর্ঘক্ষণ মরার মতো পড়ে পড়ে ঘুমান। এটাও মোটুত্বের কারণ হতে পারে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ঘুমান
৭. উল্টো দিকে পিঠ বাঁকিয়ে আড়মোড়া ভাঙার কায়দায় কসরত করে অনেকেই পিঠের ব্যথা দূর করে থাকেন। এতে ক্ষতির কিছু নেই। তবে ক্ষতি হতে পারে যদি আপনি ঘুম ওঠার পরপরই এই কসরতটি করতে যান। বিশ্রামে থাকা মাংশপেশিতে হঠাৎ করেই চাপ ও সংকোচনের ফলে ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে। এ অবস্থার শিকার হতে না চাইলে ঘুম থেকে উঠেই পিঠ বাঁকানোর কসরত ত্যাগ করতে হবে আপনাকে। বিছানা ছাড়ার পর প্রাকৃতিক কাজ সারার পর দাঁত মাজা ও মুখ ধোয়ার কাজগুলো সারুন। তারপর চা-বা কফি পান করুন। এবার চাইলে আপনি পিঠ বাঁকিয়ে বা ডানে-বাঁয়ে শরীর টান (স্ট্রেচিং) করে নিন- কোনও সমস্যা নেই।
৮. চাপ অনুভূত হওয়ার পরেও মূত্রত্যাগে অহেতুক বিলম্ব করবেন না। প্রস্রাবের বেগ দীর্ঘণ চেপে রাখলে আপনার মূত্রথলির জন্য তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দেবে। তাই চাপ অনুভূত হওয়ার পর তা থেকে মুক্ত হতে অহেতুক বিলম্ব করবেন না। চেষ্টা করুন মূত্রথলির জন্য অস্বস্তিকর অতিরিক্ত মশলাদার খাদ্য, চকোলেট, মদ, কার্বন ডাই-অক্সাইডযুক্ত পানীয় (কার্বোনেটেড বেভারেজ), ক্যাফেইযুক্ত পানীয় (চা-কফি) বর্জন করে চলতে।
৯. আপনার ঝোলা ব্যাগ (সাইড ব্যাগ), হ্যান্ডব্যাগ বা ল্যাপটপবাহী ব্যাগটি প্রতিদিন একই দিকের কাঁধে বহন করা থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে কাঁধ, পিঠ বা হাত ব্যথার শিকার হতে পারেন আপনি। তাই হাঁটাচলার ক্ষেত্রে কাঁধ বা হাতে ঝোলানো ব্যাগটি ডান-বাম ও সামনে পেছনে স্থান পরিবর্তন করে নিন নির্দিষ্ট সময় পরপর। এর ফলে অহেতুক কাঁধ-হাত-পিট ব্যথার কষ্ট থেকে রেহাই মিলবে।
১০. ধূমপান এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যারা ধূমপান করেন, তাদের জন্য উপদেশই বলুন আর সৎ পরামর্শই বলুন, ‘এই মুহূর্তে ধূমপান ত্যাগ করুন’ কথাটি অনেক পুরনো হয়ে গেছে। তারপরেও পুরনো সেই অনুরোধ আবারও : প্লিজ, ধূমপান ছেড়ে দিন। কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য সবদিক দিয়েই ক্ষতিকর। তবে এর বাইরে ধূমপায়ীদের দুটি গ্রুপ আছেন যারা নিজেদের বিরুদ্ধে এই ক্ষতিকর কাজটিও আরও মারাত্মক করে তোলেন। এদের একটি পক্ষ শুয়ে শুয়ে ধূমপান করেন আর অপরটি সকালে বিছানা ছেড়েই খালি পেটে সিগারেট ধরান। এই খালি পেটে সিগারেট ধরানোদের মধ্যে একদল আছেন যারা সকালে প্রাকৃতিক কাজ সারার সময়ে টয়লেটে ঢুকেন হাতে একটি জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে। দয়া করে শুয়ে শুয়ে ধূমপান, খালি পেটে ধূমপান এবং শৌচাগারে ঢুকে ধূমপানের কুঅভ্যাসটি অন্তত ছেড়ে দিন ধূমপায়ীরা। কারণ সাধারণভাবে ধূমপান করার চেয়ে এই কায়দার ধূমপায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতির শিকার হয়ে থাকেন।

স্ট্রোক সম্পর্কে জানুন ও প্রতিকারক বেবস্থা নিন

STROKE স্ট্রোকঃ মনে রাখুন শব্দটির প্রথম ৩টি অক্ষরঃ S, T এবং R
আমার বন্ধু আমাকে এই ছবিটি পাঠিয়েছে এবং আমাকে এই কথাগুলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য উৎসাহ যুগিয়েছে। আমরা সবাই-ই যদি এই ছোট্ট সাধারণ সণাক্তকরণ উপায়টা শিখে ফেলি, তবে হয়তো আমরা স্ট্রোকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারবো।

একটি সত্যি গল্পঃ
একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন এম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।
সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।
মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো, তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক করেছিলেন। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্রমহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।
সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়, সাহায্যহীন, ভরসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটা মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।
একজন মস্তিষ্কবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।
স্ট্রোককে চিনুন…
সহজ তিনটি ধাপঃ- S T ও R…পড়ুন এবং জানুন!
মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর মস্তিষ্কে যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।
সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ
S – Smile রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।
এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন। (রোগী বলতে স্ট্রোকের শিকার সন্দেহ করা ব্যক্তি বোঝানো হয়েছে)
সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
একজন খ্যাতনামা হৃদবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপারগুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো।
সুতরাং, আপনি শিখলেন, আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও শেখান।

গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ? কিছু পরামর্শ, শুধুই আপনার জন্য..

আজ আমি খুব কমন একটা রোগ “গ্যাস্ট্রিক” থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করবো…
গ্যাস্ট্রিক আমাদের দেশের একটা কমন রোগ। আসলে এটা কোন রোগ না। এটা সাধারণত কিছু বদভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। অন্য যেকোন রোগের চেয়েও এটা মাঝে মাঝে খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একদিনে হয়তো পুরোপুরি নিরাময় হবেনা। কিন্তু ক্রমাগত অভ্যাস করে গেলে আপনি একদিন পুরোপুরি অ্যাসিডিটি মুক্ত থাকবেন ইনশাল্লাহ

আসুন দেখে নেই নিয়মগুলো কি কি
১। আজ যে সময় খাবার খেলেন কালও ঠিক সেই সময়েই খাওয়ার অভ্যাস করুন। এভাবে প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে দিনের ৩ বেলার খাবার গ্রহণ করুন।
২। তৈলাক্ত খাবার যথাসম্ভব বর্জন করুন। যদি তা নাও পারেন সমস্যা নেই। তবে তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার আগে বা পরে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তৈলাক্ত খাবার খাবার অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি খান।
৩। মাংস, ডিম, বিরিয়ানী, মোঘলাই, চাইনিজ খাবার যাই খান না কেন; সেটা দুপুরের মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবারটি যেন হয় হালকা টাইপের। শাক-সবজি,ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেনু সাজান।
৪। যদি সাইনাসের সমস্যা না থাকে তবে অবশ্যই ঠান্ডা পানি খান। খুব বেশী ঠান্ডা পানি যেন না হয়। তবে গরম পানি না খাওয়াটাই মঙ্গলজনক।
৫। ভাত খাওয়ার আগে এক বা দু গ্লাস পানি খেয়ে নিন। তারপরে ভাত খান। খাওয়ার পরপরই অনেক বেশী পানি খাওয়ার প্রবণতা আমাদের মাঝে বেশী করে দেখা যায়। এটা বর্জন করুন। ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে পানি খান।
৬। প্রতিদিন খাবারের মেনুতে অন্তত একটি হলেও যেন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার থাকে তা নিশ্চিত করুন। সেটা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে। এতে গ্যাস তৈরী হবেনা। যেমন- শাক-সবজি, কলা, ঢেড়শ ইত্যাদি
৭। সরাসরি গ্লুকোজ অর্থাৎ চিনি যথাসম্ভব কম খান। তাও যদি খেতে হয় চেষ্টা করুন গুড় দিয়ে চিনির অভাবটা পুরণ করতে।
৮। বাজারে পাওয়া যায় দেশে তৈরী সমস্ত জুস যথাসম্ভব বর্জন করুন।
৯। দেশে তৈরী আইসক্রীম অনেকে রাতে খাওয়ার পরে খেতে পছন্দ করেন। এটা বাদ দেয়াটাই মঙ্গল।
১০। দিনে কিংবা রাতে- খাওয়ার পরপরই অনেকে শুয়ে পড়তে পছন্দ করেন। এটা বর্জন করুন। কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে হাঁটাচলা করতে পারেন অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে। অন্তত ৩০ মিনিট পর শুতে যান।
নিয়মগুলো মানার চেষ্টা করুন। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
পোস্টটি সর্বপ্রথম প্রকাশ হয়েছে নিচের এই ফেসবুক পেজটিতে…চাইলে লাইক করতে পারেন… :)
আপনি জানেন কী ? (General Knowledge)

পুরুষদের সুস্থ্য থাকার ৯ টি লক্ষণ…

আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদেরকে “পুরুষদের সুস্থ্য থাকার ৯টি লক্ষণ” সম্পর্কে জানাবো…
undefined
বিজ্ঞান আর মেডিকাল সায়েন্সের অগ্রগতির সাথে সাথে আমাদের অনেকের মধ্যেই স্বাস্থ্য সচেতনতাটা আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে একজন পুরুষ স্বাস্থ্যবান কিনা এটা শুধুমাত্র তার মাস্কুলারিটির উপর নির্ভর করেনা। এটা শরীরের ভেতরের আরো অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে থাকে। ডাক্তারের কাছে না যেয়েও কিছু লক্ষন দেখে আপনি কিছুটা ধারনা করতে পারবেন , আপনার শরীর এখন কোন অবস্থায় আছে।
১. সাধারন অবস্থায় আপনার হার্ট রেট ৭০ এর কাছাকাছি -
প্রথমত যেটা দেখতে পারেন, সেটা হচ্ছে আপনার সাধারন অবস্থায় হার্ট রেট। আইডিয়ালী কোন পরিশ্রম না করে, চা কফি না খেয়ে, আপনার হার্ট রেট থাকা উচিৎ ৭০ বা তার নিচে। যদি এটা এর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো সময় এসেছে কিছু কার্ডিও বা ফিটনেস বাড়ানোর ব্যায়াম করার জন্য যেটা আপনার হার্ট কে আরো শক্তিশালী এবং কার্যকরী করবে।
২. আপনার নখ হবে শক্ত এবং কিছুটা গোলাপী রঙের -

নখ কে আমরা সাধারনত খুব একটা পাত্তা দেইনা, কিন্তু এটা দেখেও আপনার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে একটা আইডিয়া নেয়া যায়। আইডিয়ালী, আপনার নখ হওয়া উচিৎ, শক্ত, গোলাপী, সারফেস হবে স্মুথ। নখে যদি সাদা সাদা দাগ থাকে এটা শরীরের মেটাবলিক সমস্যা, বা ডায়াবেটিস এর পুর্ব লক্ষন হিসেবে দেখা হয়। যদি নখ হলুদাভ হয়, শ্বাসতন্ত্রের কোন অসুখ থাকতে পারে, কাজেই সতর্ক হোন।
৩. আপনার ইউরিন এর রঙ Straw বা খড়ের রঙ এর মত -

আপনার ইউরিন এর রঙ, আপনি ভালভাবে হাইড্রেটেড কিনা এটা বুঝবার জন্য একটা চমৎকার উপায়। আপনার ইউরিন যদি হলুদ রঙ এর হয়ে থাকে, এটা বুঝায় আপনি যথাযথ পরিমান ফ্লুইড নিচ্ছেন না। এটা ছাড়াও আপনি যদি ইউরিন এ কোন রঙ পরিবর্তন লক্ষ করেন, কিছু সময় ধরে, অথবা লালচে, বা রক্ত আছে এরকম মনে হয়, তাড়াতাড়ি আপনার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিৎ।
৪. আপনার ২০ টি পুশ আপ করতে পারা উচিৎ -
আপনার শরীর এইমুহুর্তে কতটুকু সমর্থ, এটা বুঝবার একটা চমৎকার উপায় হচ্ছে, আপনি কোন রকম রেস্ট না নিয়ে, প্রোপারলী ২০টা পুশ আপ করতে পারেন কিনা, যদি না পারেন, তাহলে সময় এসেছে, আপনার শরীরের শক্তি এবং স্ট্যামিনা বৃদ্ধির জন্য ব্যয়াম শুরু করার।
৫. আপনি ১৫ মিনিটের নিচে এক মাইল দৌড়াতে পারেন -

আপনার কার্ডিওভাস্কুলার ফিটনেস এখন কি অবস্থায় আছে, তা বুঝবার একটা ভাল রাস্তা, আপনি ১৫ মিনিটের মধ্যে এক মাইল দৌড়ে আসতে পারেন কিনা। যত কম সময়ে এবং যত হার্ট রেট না বাড়িয়ে আপনি এটা করতে পারবেন, আপনার শরীর ততটাই ফিট।
৬. আপনার বাথরুম প্রতিদিন একই সময়ে হয় -

একটা সুস্থ, এবং কার্যকরী দেহে, বাথরুম প্রতিদিন হওয়া উচিৎ, এবং সেটা কম বেশি একই সময়ে হওয়া উচিৎ। যদি প্রতিদিন না হয়, অথবা নিয়মিতই পাতলা বা শক্ত হয়, লক্ষন খুব একটা ভাল নয়। সময় এসেছে আপনার খাদ্যাভ্যাস পাল্টানোর, পরিমিত ফাইবার নিচ্ছেন কিনা এটা খেয়াল করুন, তাতেও যদি কিছু না হয়, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৭. অ্যালার্ম ছাড়াই আপনি প্রতিদিন সকালে কম বেশি একই সময়ে উঠতে পারেন -

পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম শরীরের জন্য খুব-ই ভাইটাল। ঘুম না হওয়া, শুধুমাত্র আপনার শরীর কে ফ্যাটিগ ই করবেনা, এটা স্ট্রোক, ওবেসিটি, হার্ট ডিজিজ এরও রিস্ক ফ্যাক্টর। আপনার শরীর যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, শরীরের ভিতরের রিদম ঠিক ভাবেই চলার কথা, এবং সে ক্ষেত্রে কোন এলার্ম ছাড়াই, সকালে একটা নির্দিষ্ট সময়ে উঠতে আপনার সমস্যা হবার কথা নয়। এলার্ম ছাড়া কোন ভাবেই যদি উঠতে না পারেন, তাহলে সময় এসেছে, ঘুমের সময়টা কিছুটা এগিয়ে আনার। ছুটির দিনে বেশি ঘুমিয়ে পুষিয়ে দেওয়াটা শরীরের জন্য মোটেই স্মার্ট কোন পছন্দ নয়।
৮. আপনার ওজন আপনার আদর্শ ওজনের ৫ কেজির আশেপাশে -
আপনার ওভার অল স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝবার জন্য খুব ভাল একটা উপায় হচ্ছে আপনার ওজন। আপনার বি এম আই চেক করে আপনি আন্ডারওয়েট না নর্মাল, না ওবেস বা অভারওয়েট কিনা দেখে নিতে পারেন। আপনার শরীরে ফ্যাট কিরকম সেটা সম্বন্ধেও আইডিয়া থাকা উচিৎ। দুটা মিলিয়ে শরীরের অবস্থাটা বুঝতে পারবেন। ৪০ এর নিচে একজন পুরুষের বডি ফ্যাট থাকা উচিৎ ৮-১৯%। এর উপরে বয়স হলে ১১-২২%।
৯. ভারী কাজ বা ব্যায়াম বা দৌড়াদৌড়ি’র পর আপনার হার্ট রেট ৫ মিনিটের মধ্যে সাধারনে নেমে আসবে -

এটা দিয়েও সহজে বুঝতে পারবেন আপনার হার্ট কি অবস্থায় আছে। স্পেশালী ভারী ব্যায়াম বা কার্ডিও করবার পর আপনার হার্ট রেট যত তাড়াতাড়ি কমে আসবে, আপনি ততটাই স্বাস্থ্যবান।
কাজেই একটু সময় নিয়ে দেখে নিতে পারেন এই ব্যাপারগুলো, এবং কোন ডাক্তারের কাছে না গিয়েই নিজেই অনেকটা এসেস করতে পারবেন আপনার শরীর এখন কি অবস্থায় আছে, এবং শরীরের যত্ন নেবার সময় এসেছে কিনা।:)
লিখেছেনঃ ডাঃ নাকিব

লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে নিচের লিংকটিতে,

আপনি জানেন কি? (General Knowledge)

আজকের মত এই পর্যন্তই…
সবাই ভালো থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।

“আল্লাহ হাফেজ” :)

আপনি জানেন কি মূত্রের রং বিভিন্ন কঠিন রোগ চিনিয়ে দেয়

মূত্র পরীক্ষা করতে হলে খুব ভোরে শয্যাত্যাগের পরে মূত্র নিয়ে একটি কাঁচপাত্রে রাখতে হবে। তারপর ঐ কাঁচপাত্রে ২-৩ ফোঁটা সরষের তেল ফেলে ভালো করে ঝাঁকাতে হবে।
১, বাতজনিত রোগগ্রস্তের মূত্র শ্যাম, রক্ত, কৃষ্ণ, হলুদ ইত্তাদি নানা বর্ণ যুক্ত হয়। ঐ মুত্রে সরষের তেলের ফোঁটা নিক্ষেপ করা মাত্র মূত্রবিম্ব উপরের দিকে উঠতে থাকে।
২, বাত-স্লেস্মা প্রকুপিত রোগীর মূত্রে সরষের তেল নিক্ষেপ করলে সরষের তেল ও মূত্র একত্রে মিশে কাঁজির বর্ণ ধারণ করে।
৩, পিত্ত প্রকুপিত রোগীর মূত্র সাধারনত রক্তাভ হয়। এতে সরষের তেল নিক্ষেপ করলে বুদবুদ হয়।
৪, পিত্ত-স্লেস্মা প্রকুপিত রোগীর মূত্র পাণ্ডুবর্ণের হয়।
৫, বাত, স্লেস্মা, পিত্ত এই ত্রিদোষযুক্ত বেক্তির মূত্র হয় রক্ত বর্ণের অথবা কালো বর্ণের।
৬, জ্বর রোগাগ্রস্ত রোগীর মূত্র সাধারণত আখের রসের মতো হয়ে থাকে। পুরোনো জ্বর রোগগ্রস্ত রোগীর মূত্র ছাগলের মূত্রের মতো হবে।
৭, ক্ষয় রোগের মূত্র সাধারণত কৃষ্ণবর্ণের হয়ে থাকে।

ভালো ঘুম হচ্ছে না? কিছু টিপস্ জেনে নিই

কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনে শান্তির ঘুম যেন আজকাল কল্পনার বিষয়। কিন্তু আসলেই কি তাই? মোটেও না।
আমাদের জীবন যাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে দিতে পারে গভীর ঘুম। ঘুম ভালো না হলে সারাদিনই তার প্রভাব পড়ে শরীর এবং কাজের উপর।
আসুন জেনে নিই শান্তিতে গভীর ঘুমের প্রস্তুতির জন্য কি কি করা যেতে পারে:
* বাইরে থেকে ফিরে গোসল সেরে নিন। সারা দিনের কান্তি এক নিমিষে চলে যাবে।
* এক গ্লাস গরম দুধ খান।
* ঘুমোতে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ আগে টিভি, কম্পিউটার বন্ধ করুন।
* পরের দিনের কাজের পরিকল্পনা আগেই করে ফেলুন, টেনশনে ঘুম নষ্ট হবে না।
* বিছানায় যাওয়ার অনেক আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিন।
* চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা না করার ।
* শোবার ঘরটি অযথা একগাদা জিনিস দিয়ে ভরে রাখবেন না।
* রাত ১০টা / ১১টার মধ্যেই ঘুমোতে যান। এ সময় বিছানায় গেলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
* পারলে সন্ধ্যার পরই চা-কফি খাওয়া বন্ধ করে দিন।
* সফট্ মিউজিক শুনুন।
* শোবার ঘরে বেশি আলো ঢুকে যেন ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটায় না নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে ভারি পর্দা ব্যবহার করুন।
আর চিন্তা কেন? আজ থেকেই চেষ্টা শুরু করুন ।
সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি

ডায়বেটিস এর আদ্যোপান্ত

“ডায়বেটিস এর আদ্যোপান্ত”ইন্সুলিনের কার্যপদ্ধতিঃ
আমরা যখন কোন খাদ্য গ্রহণ করি, হজম শেষে তা চিনি/সুগার/গ্লুকোস এ পরিণত হয়। এই চিনি প্রথমে রক্তে পৌছায়, এরপর রক্ত থেকে কোষে কোষে পৌছায়। কোষের ভিতরে এই চিনি থেকে শক্তি উতপাদন হয়। রক্ত থেকে কোষে চিনি পৌছানোর কাজে সাহায্য করে ইন্সুলিন নামক একটি হরমোন। চিনি যখন প্রথমে রক্তে পৌছায় তখন প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের একটি বিশেষ ধরণের কোষ (আইলেট অফ ল্যাঙ্গারহ্যান্
স) থেকে ইন্সুলিন তৈরী হয়। এই ইন্সুলিন তখন শরীরের প্রতিটা কোষে কোষে যেয়ে রক্তে চিনি থাকার খবর টা পৌছে দেয়। এই খবর পৌছানোর ব্যাপারটাও বেশ মজার। কোষের বহিরাবরনে “রিসেপ্টর” নামক একটি প্রোটিন থাকে। একটু মজা করে বলি, ধরে নিন “রিসেপ্টর” গুলো হলো কোষ নামক বাড়ির জানালার মত। ইন্সুলিন যেন সেই বাড়িতে টোকা দিয়ে বলে, “বাড়িতে কে আছেন? রক্তে অনেক চিনি আছে, বাড়িতে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেন”, এই সিগনালের পরিপ্রেক্ষিতে কোষের গায়ে “গ্লুকোস ট্রান্সপোর্টার (GLUT)” নামক দরজা খুলে যায়। এই দরজা দিয়েই কোষের ভিতর চিনি প্রবেশ করে। এবং তারপর কোষের ভিতর এই চিনি ভেঙ্গে শক্তি উতপাদিন হয়।
ডায়বেটিস এর টাইপঃ
ডায়বেটিস মূলত দুই ধরণের- টাইপ ১ ও টাইপ ২।
>টাইপ ১ ডায়বেটিস হলো বংশগত এবং কম বয়সেই এই রোগটা দেখা দেয়। এই ধরণের ডায়বেটিস এর কারণ হলো অগ্নাশয়েরইন্সুলিন উতপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়া। ফলে, শরীরে পর্যাপ্ত ইন্সুলিন তৈরী হয়না। তাই খাওয়ার পরে যখন রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়, তা কোষে কোষে ঢুকানোর কোন ব্যবস্থাই শরীরে থাকেনা। ফলে চিনি রক্তেই রয়ে যায়।
>টাইপ ২ ডায়বেটিসে, অগ্নাশয়ও ঠিক থাকে, ইন্সুলিনও তৈরী হয়, কিন্তু কোষে কোষে থাকা “রিসেপ্টর” গুলো কাজ করেনা। ফলে খাওয়ার পরে যখন রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়, ইন্সুলিন কোষের “রিসেপ্টর” কে সেই খবর ঠিকই জানায়, কিন্তু “রিসেপ্টর” গুলো তাতে কোন সাড়া দেয়না। ফলে চিনি রক্তেই রয়ে যায়। রিসেপ্টরের এই ধরণের বিকৃতি ধীরে ধীরে ঘটে। তাই টাইপ ২ ডায়বেটিস বেশি বয়সে গিয়ে হয়।
“ডায়বেটিস এর কারণ কি অতিরিক্ত চিনি না অন্য কিছু?”
উপরের আলোচনা থেকে দুই ধরণের ডায়বেটিস এর কারণ ই তো জানলেন, সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে ডায়বেটিস হওয়ার সাথে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সম্পর্ক নেই। চিনি খেলে যে ডায়বেটিস হয়না, তা কিন্তু বিজ্ঞানীরা হাতে নাতে প্রমাণ করেছেন। ২০০৩ সালে করা একটি গবেষনায় ৩৯০০০ মধ্যবয়সী মহিলার উপর গবেষনা করে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সাথে ডায়বেটিস হওয়ার কোন সম্পর্ক পাননি (লিংক দেখুন), যদিও কিছু বিজ্ঞানী এখনো চিনি কেই দায়ী মনে করেন এবং প্রমাণের আশায় এখনো গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন।অগ্ন্যাশয়ের ইন্সুলিন উতপাদন কারী কোষে গন্ডগোল এবং “রিসেপ্টর” এ গন্ডগোল দুটো হওয়ার পিছনেই ভূমিকা রাখে বংশগত কারণ। তবে হ্যা, অতিরিক্ত চিনি খেলে আপনার ওজন বাড়বে। আর অতিরিক্ত ওজন দুই ধরণের ডায়বেটিস ঘটাতেই সহায়ক ভূমিকা রাখে। শরীরে ফ্যাট সেল বেড়ে গেলে, ফ্যাট সেল গুলো থেকে এমন কিছু পদার্থ বের হয় যা রিসেপ্টর গুলোর কার্যকারীতা কমিয়ে দিয়ে টাইপ ২ ডায়বেটিস তৈরী করে। ফলে শরীরে ইন্সুলিন তৈরী হলেও কোষে চিনি ঢুকার দরজাটি আর খুলেনা। শরীর কি সমস্যা হলো বুঝতে না পেরে, আরো বেশি বেশি ইন্সুলিন তৈরী করতে চেষ্টা করে। ফলে অগ্ন্যাশয়ের ইন্সুলিন উতপাদনকারী কোষ গুলোও আস্তে আস্তে ড্যামেজ হয়ে, টাইপ ২ এর পাশাপাশি টাইপ ১ ডায়বেটিস এর ও সূচনা ঘটায়।
ডায়বেটিস এর লক্ষনঃ
রক্তে অতিরিক্ত চিনি থাকার ফলেই রোগীর মধ্যে ডায়বেটিস এর লক্ষন গুলো দেখা যায়। ডায়বেটিস এর লক্ষন মূলত তিনটি p- polyuria(ঘন ঘন মুত্রত্যাগ),polydipsia (পিপাসা) এবং polyphagia(ক্ষুধা), কিডনীর সাহায্যে মূত্রের মাধ্যমে রক্তের অতিরিক্ত চিনি বের করে দেয়ার প্রয়োজনেই ঘন ঘন মূত্র তৈরী হয়। ঘন ঘন মূত্রের পরে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যাওয়াতে তৃষনা ও বেশি পায়।আর কোষ গুলোতে চিনি ঢুকতে না পারার কারনে কোষে কোষে কম শক্তি উতপাদন হয়ে, শরীরের শক্তির ঘাটতি মেটাতে মস্তিষ্ক ক্ষুদার অনুভূতি তৈরী করে, যাতে মানুষটি শক্তি ঘাটতি মেটাতে আরো খাদ্য গ্রহণ করে।
ডায়বেটিস এর ক্ষতিকর প্রভাবঃ
ডায়বেটিস এর লক্ষন গুলো তো জানলাম, এখন জানি এর ফলে শরীরের কি কি ক্ষতি হয়। রক্তের অতিরিক্ত চিনি চোখের রেটিনার রক্তনালী কে ক্ষতিগ্রস্ত করে দৃষ্টিশক্তি ব্যহত করে, ব্রেনের রক্ত সরবরাহকারী নালীর পুরত্ব বৃদ্ধি করে ব্রেনে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়, কিডনীর নেফ্রনের পুরত্ব বাড়িয়ে দিয়ে কিডনীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, যে কোন ধরণের ঘা কে শুকাতে বিলম্ব ঘটায়। তাছাড়াও হার্টের রোগ ও স্ট্রোকেও ডায়বেটিস সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ডায়বেটিস প্রতিরোধঃ
ডায়বেটিস মূলত বংশগত রোগ, তাই জেনেটিক ফ্যাকটর টা প্রতিরোধ করা আমাদের পক্ষা সম্ভব না। তবে অতিরিক্ত ওজন, আলস্যপূর্ণ জীবন যাপন, খাদ্যাভাস, অপ্রতুল ব্যায়াম, ধূমপান-ইত্যাদি যেহেতু ডায়বেটিস কে ত্বরানিত করে, এসবের ব্যাপারে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।

আসুন জেনে নিই আপনার আমার দেহ সম্পর্কে কিছু মজার ও অদ্ভুত তথ্য

আসসালামু আলাইকুম,সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভাল আছেন । আমিও ভাল । আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের মানব দেহ সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত ও মজার তথ্য ।
* একজন মানুষের দেহে রক্তের পরিমাণ তার মোট
ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৬৫ কেজি ওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি।
* দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত
রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০
কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।
* রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।
* দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।
* একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত
লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার
পেঁচানো যাবে।
* কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য
দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
* দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১
সেকেন্ড সময় লাগে।
* একজন শিশুর জন্মের সময় হাড়
থাকে ৩৫০ টি।(একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের দেহে হাঁড়ের সংখ্যা ২০৬ টি)
* একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ করে।
* একজন মানুষের শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ বর্গফুট।
* একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ।
* মানুষের শরীরে যে পরিমাণ
চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় জাতের কেক তৈরি সম্ভব।
* মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশী আছে। কোন কোন কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয়।
* মুখমন্ডলে ৩০ টির বেশী পেশী আছে।
* হাসতে গেলে ১৫ টির বেশী পেশী সক্রিয় হয়।
* একস্থান থেকে শুরু করে সমগ্র শরীর
ঘুরে ঐ স্থানে ফিরে আসতে একটি রক্ত
কণিকা ১,০০,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ ২.৫ বার পৃথিবী অতিক্রম করতে পারে।
* আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০
টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে।
সবাইকে ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য ।
ভাল থাকুন এবং ভাল রাখুন আপনার পাশের জনকে ।

টমেটো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কমায়

দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যারা নিয়মিত টমেটো রাখেন, তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। আর তাহল তাদের স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কম। সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণা শেষে এ তথ্য দেন।
নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা এক হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে নিয়ে গবেষণা করেন, যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান লাইকোপেন কম ছিল।
গবেষকরা দেখেছেন, যারা নিয়মিত টমেটো খেয়েছেন, তাদের স্ট্রোকের আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় ৫৫ শতাংশ কমে গেছে।
গবেষণাটিতে ফলমূল ও শাকসবজি জাতীয় খাবারের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। টমেটো, তরমুজ, পেঁপেতে লাইকোপেন নামে এই রাসায়নিক উপাদানটি পাওয়া যায়। তবে তা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে টমেটোতে, যা শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
২৫৮ ব্যক্তিকে নিয়ে চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের রক্তে লাইকোপেন সবচেয়ে কম, তাদের প্রায় ১০ জনের মধ্যে একজনের স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। আর রক্তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বেশি রয়েছে এমন ২৫৯ ব্যক্তিকে নিয়ে চালানো গবেষণায় দেখা যায়, তাদের প্রায় ২৫ জনের মধ্যে একজনের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, টমেটোয় থাকা লাইকোপেন অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্টের তুলনায় প্রদাহ ও রক্ত জমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে পারে।

চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !

চলুন , ওষুধ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা সারিয়ে ফেলি !
undefined

ধরুন আপনি কোনো কাজে বা অকাজে বাইরে এমন একটা জায়গায় আছেন যেখানে হাতের কাছে কোন ডাক্তার বা ওষুধের দোকান নেই। আর আপনার কাছেও কোন ওষুধ নেই। এদিকে মাথার যন্ত্রণায় আপনার নিজের মাথা ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। কী করবেন ?
কিম্বা ধরুন : আপনি এই মুহূর্তে ট্রেনের মধ্যে । এদিকে মাথা-ব্যথায় মাথা কেটে ফেলার জোগাড়। কিন্তু ব্যাগেতো ওষুধ নিয়ে বের হননি।
বা মনে করুন বাড়িতে কেউ একজন খুব অসুস্থ।রাত জেগে আপনার মাথা এমন যন্ত্রণা করছে আপনি চুপ করে থাকতে পারছেন না।কিন্তু তার অসুস্থতাটা এতই বেশি যে আপনার প্রচন্ড মাথাযন্ত্রণা করলেও সেখানে আপনার কথা জানাতে পারছেন না।
হয়তো এমন হল আপনার কোনো কাছের মানুষ মাথার যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন। কিন্তু তিনি যখন তখন ওষুধ খেতে পছন্দ করেন না ( অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়াও উচিত নয়)। কী করবেন ? কেবল বসে বসে তার কষ্ট দেখবেন ?
চলুন দেখি কিছু করা যায় কিনা ।
কেন মাথা-যন্ত্রণা ?
মাথার যন্ত্রণা নানা কারণেই হতে পারে। ঠাণ্ডা লাগলে ,বদহজম-গ্যাস-অ্যাসিড হলে , টেনশন করলে ইত্যাদি ইত্যাদি। বলে শেষ করা যাবেনা।
মূল বিষয় হল এটা- আমাদের শরীরে হৃদপিণ্ড থেকে শরীরের নানা অংশে রক্ত সঞ্চালিত হয়।যখন সেটা উপরোক্ত বা তার বাইরের নানা কারণের জন্য বিঘ্নিত হয় তখন নানা ধরণের সমস্যার সূত্রপাত।মাথার যন্ত্রণাও তাই।
 
ওষুধ ছাড়া কিভাবে নিরাময় করা যেতে পারে ?
তাহলে দেখা গেল শরীরের নানা অংশে অক্সিজেন সহ রক্ত সঞ্চালনের অসুবিধা হওয়ার জন্যে এই সমস্যা। যদি এই সমস্যাটা দূর করা যায় তবে সমস্যা থেকে মুক্তি সম্ভব।
কিন্তু কী ভাবে বা কোন পদ্ধতিতে এটা করা যেতে পারে ?
অ্যাকিউপ্রেসার পদ্ধতির মাধ্যমে এটা সম্ভব।
অ্যাকিউপ্রেসার নামই তো শুনিনি ! তা ভালো , এটা খায় না মাথায় দেয় ?
না , আপনাকে খেতেও হবে না , মাথায়ও দিতে হবে না। অ্যাকিউপ্রেসার একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতি বিশ্বাস করে যে আমাদের শরীরে যত স্নায়ু আছে তার একটা অংশ এসে মিশেছে আমাদের হাতের তলায় ও পায়ের তলায়। শরীরের যে অংশে অসুবিধা , সেই স্নায়ুর উপর আপনি যদি প্রেসার দিয়ে তার কাজকে সচল বা সুস্থ করে তুলতে পারেন তবে যন্ত্রণা নিরাময় হবে।
ও এতক্ষনে নামটা যেন একটু চেনা চেনা লাগছে ? কি যেন ,  কি যেন ,  ও হ্যাঁ , মনে পড়েছে আকুপাংচার। আপনি আকুপাংচারের কথা বলছেন তাহলে ?
হ্যাঁ আমি তার কথা বলছি , আবার বলছিও না। আপনি যার কথা বললেন , আর আমি যার কথা বলছি দুটোরই উদ্দেশ্যটা এক বটে। তবে কাজ করার ধরণটা আলদা।
আকুপাংচারে শরীরের ক্ষতিপ্রাপ্ত ঐ অংশ গুলোতে ছুঁচ ফুটিয়ে ছুঁচের ডগার মাধ্যমে প্রেসার দেওয়া হয়। আকিউপ্রেসারে ছুঁচ না ফুটিয়েই অ্যাকিউপ্রেসারে ব্যবহৃত যন্ত্রের সাহায্যে এই প্রেসার দেওয়া হয়।অবশ্য এই যন্ত্র আপনি নিজেই তৈরী করে নিতে পারবেন যেমন ধরুন পেনসিলের ডগা বা কিছু না পেলে আপনার আঙুলের সাহায্যেও এই কাজটা করতে পারবেন।
কিন্তু আকুপাংচারের  সুঁচ ফোটানোতো অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া অসম্ভব।
মানে দাঁড়াল গিয়ে এই – আকুপাংচার থেকেই অ্যকিউপ্রেসার এসেছে,  তাইতো ?
না ,মোটেই তা  নয় বরং অ্যাকিউপ্রেসার অনেক পুরনো পদ্ধতি। তা থেকেই পরবর্তীতে আকুপাংচার এসেছে।
প্রমাণ আছে কি কিছু এই পদ্ধতির প্রয়োগ সম্পর্কে ?
এই উপমহাদেশেই তিন হাজার বছর পূর্বে এর সূচনা হয়েছিল। চরক-সুশ্রুতের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। সুশ্রুতের রচনায় এর প্রমাণ আছে। আমাদের দেহের মধ্যেই অবস্থিত প্রকৃতির নিজস্ব বিজ্ঞান থেকেই অ্যকিউপ্রেসারের জন্ম। ষোল শতাব্দীতে রেড ইন্ডিয়ানরাও রোগীর হাত-পায়ের তেলোর বিভিন্ন অংশে চাপ দিয়ে রোগ নিরাময় করত।মার্কিন দেশের ডাক্তার উইলিয়ন ফ্রিটজজেরালড প্রমুখ ব্যক্তিরা গবেষণা করে এই চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আধুনিক যুগের আলোয় নিয়ে এসেছেন।সবচেয়ে বড় কথা এর কোন সাইড এফেক্ট নেই।
আমার মাথা যন্ত্রণা করছিল না কিন্তু এখন আপনার বকবকানি শুনে মাথাযন্ত্রণা শুরু হয়ে গেল ।
বা , তাহলেতো বেশ ভালোই হল । একেবারে হাতে কলমে পরীক্ষা করে নিতে পারবেন ।
দেখুন আমি নিচে হাতের ছবি দিয়েছি।
যেখানে গোল করা আছে ঐ অংশটা ভালো ভাবে লক্ষ করুন।
এবার আপনার একহাতের বুড়ো আঙুলের সাহায্যে অন্য হাতের ঐ অংশ জুড়ে বারবার প্রেসার দিন।একটু যেন লাগে। কিছুক্ষণ করতে থাকুন।
এবার হাতটিকে উল্টে নিন ছবির মতো।
আবার বুড়ো আঙুলের সাহায্যে গোলদাগ দেওয়া জায়গায় প্রেসার দিন।
undefined
এবার এই হাতকে রেস্ট দিন।একই রকম ভাবে অন্যহাতে কিছুক্ষণ করুন।
এবার পায়ের দিকে লক্ষ করুন ।
গোল দাগ দেওয়া জায়গায় হাতের বুড়ো আঙুলের সাহায্যে হাতে যেভাবে প্রেসার দিচ্ছিলেন একই রকম ভাবে প্রেসার দিন। কিছুক্ষণ করতে থাকুন।
এবার অন্যপায়ে করুন। পুরো প্রক্রিয়াটা পুনরায় আরো দু একবার করুন।
আর সবশেষে হাতের গোলদাগ দেওয়া জায়গায় কিছুক্ষণ প্রেসার দিন।
এবার পায়ের গোল দাগ দেওয়া জায়গায়
undefined
এর কারণ হল এই পদ্ধতিতে বিশ্বাস করা হয় এই জায়গাটাতেই বৃক্কের স্নায়ু আছে। হাতের  ও পায়ের যে উপাচার করা হল তার ফলে ঐ অংশ থেকে দূষিত পদার্থ বৃক্কে গিয়ে জমা হয়েছে (বৃক্কের কাজও তো আসলে তাই।)।এই প্রেসারের ফলে বৃক্ককে সুস্থ রাখার উপাচার করা হল।
আর হ্যাঁ যদি মনে করেন অম্বল বা অ্যাসিড থেকে হয়েছে তবে একটা আলু থেতো করে রস খেতে পারেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ভালোবোধ করবেন। পাশাপাশি অ্যকিউপ্রেসারটা  চালু রাখুন।(তবে খবরদার , যদি সুগার থাকে তবে কোনোমতেই আলুর রস খাওয়া চলবে না।)
যদি না কমে ?
যদি কমে তবে অ্যকিউপ্রেসারের গুণ ,যদি না কমে তবে মনে মনে একটু গালি দিয়েন আমাকে।তবে চেষ্টা করে দেখতে দোষ কী? একটু করেই দেখুন না । ও হ্যাঁ বলতে ভুলে গিয়েছি-মাথা যন্ত্রণা শুরু হবার উপক্রম হচ্ছে বুঝতে পারলে শুরুতেই একটু উন্মুক্ত পরিবেশে হাঁটুন। বাইরের উন্মুক্ত হাওয়া এবং প্রচুর অক্সিজেনের কারণে শুরুতেই আপনার মাথা যন্ত্রণা সেরে যেতে পারে।
সহায়ক গ্রন্থ :আপনার স্বাস্থ্য আপনারই হাতে : অ্যাকিউপ্রেশার ও অন্যান্য প্রাকৃতিক চিকিৎসা। (লেখক-দেবেন্দ্র ভোরা )

দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?

দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?
 
দাঁতের যন্ত্রণায় যারা ভোগেন তারাই জানেন এর মতো আর কোনো যন্ত্রণায় এত কষ্ট পেতে হয় কিনা ! বাপের নাম ভুলিয়ে দেয় এই দাঁত যন্ত্রণা।
দাঁতের যন্ত্রণা যখন শুরু হয় তখন মনে হয়না কারো সঙ্গে কথা বলি। তখন ভালো কথা বললেও রাগে শরীর জ্বলে যায়। দুপ করে রাগে জ্বলে ওঠে মাথা। আর যিনি এই ভালো কথাগুলো বলতে গিয়ে ধমক খেলেন তিনি ভাবেন -কী এমন খারাপ কথা বললাম যে রেগে গেল ?!
আসলে দোষ তারও না , আপনারও না। দোষ হল গিয়ে দাঁতের
চলুন দেখি দাঁতকে সোজা করা যায় কিনা ! ব্যাটা বড় বাড় বেড়েছে। দাঁড়াও ঠান্ডা করছি তোমাকে।
তার আগে বলে নিই কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে এটা করার মনস্থ করেছি। হ্যাঁ গত পর্বের মতো এপর্বেও সাহায্য করবে সেই অ্যাকিউপ্রেসার। বুঝতে পেরেছেন তো ? কি বললেন- মাথায় ঢুকলো না কিছু। আচ্ছা বুঝেছি , আপনি আমার আগের পর্ব পড়েন নি। বেশ তাহলে এখান থেকে পড়ে নিন তাহলে এপর্বটা বুঝতে সুবিধা হবে।
বেশ তাহলে পড়ে নিয়েছেন। তাহলে এপর্বে আর অ্যাকিউপ্রসার নিয়ে আলোচনা না করে সরাসরি দাঁতের ব্যথার নিরাময়ে ঢুকে গেলাম।
দেখুন এই হল আপনার দাঁত।

আমি যেভাবে দাঁতের নাম্বারিং করেছি সেটা লক্ষ করুন
মানে হল মুখের একেবারে সামনে  মাঝখানে যে দুটো দাঁত আছে তার একটা আপনার বামপাশে আর একটা ডানপাশে।ডানদিকে আপনার যে দাঁতের সারি এটা তাঁর একনম্বর দাঁত।এরপরেরটা ২ , তার পরেরটা ৩ , তার পরেরটা ৪ ……।এইভাবে গুনতে হবে। বাদিকের দাঁতের সারিও এইভাবেই গুণতে হবে । নিচের পাটির দাঁতও  এইভাবে গুণতে হবে।

এবার নিচে হাতের ছবি দেখুন।
undefined
A= তর্জনী
B=মধ্যমা
C=অনামিকা
D=কণিষ্ঠা
এখন কতগুলি জলের মতো সহজ জিনিস আপনাকে কষ্ট করে মনে রাখতে হবে।
১।বাদিকের উপরের পাটি বা নিচের পাটি দুটোর জন্যেই বাদিকের হাত।
২।ডানদিকের উপরের পাটি বা নিচের পাটি দুটোর জন্যেই ডানদিকের হাত।


১,২ নং দাঁতের জন্যে A বা তর্জনী
,৪ নং দাঁতের জন্যে B=মধ্যমা
৫,৬ নং দাঁতের জন্যে C=অনামিকা
 ৭,৮ নং দাঁতের জন্যে  D=কণিষ্ঠা
সেটা উপরের পাটি বা নিচের পাটির দাঁত যাই হোক না কেন।
ধরুন আপনার কোনো একটি দাঁত যন্ত্রণা করছে আপনি প্রথমে জিভ ( জিহ্বা) দিয়ে গুনে ফেলুন কোন দাঁতটা যন্ত্রণা করছে। ধরুন গুনে দেখলেন আপনার বাদিকের উপরের পাটির  ৩ নং দাঁতটা যন্ত্রণা করছে ।  তাহলে আপনাকে  বাহাতের মধ্যমা , এই আঙুলটাকে এইভাবে ছবির মতো চিপে ধরতে হবে। যাতে একটু লাগে।
কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে দেখবেন আপনার দাঁতের যন্ত্রণা কমতে শুরু করেছে । যতক্ষণ আপনি সহ্য করতে পারবেন ততক্ষণ চিপে ধরে থাকুন। বা আপনি যদি না পারেন তবে কাউকে চিপে ধরে রাখতে বলুন আপনার সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী। বা আপনি কোনো ক্লিপ নিচের ছবির মতো আঙুলে দিয়ে রাখতে পারেন(তবে এমন কিছু করবেন না যাতে আঙুলে রক্ত জমে যায় বা অন্য কোনো সমস্যা শুরু হয় এবং সবটাই হবে আপনার সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী।)

ধরুন আপনার ডান দিকের  নিচের চোয়ালের  ৮ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে ডানহাতের কণিষ্ঠা (D)  আঙুল চিপতে হবে।
ধরুন আপনার বাদিকের নিচের চোয়ালের ১ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে বাহাতের তর্জনী (A) আঙুল চিপতে হবে
বাদিকের  উপরের চোয়ালের  ৪ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে বাহাতের মধ্যমা (B) আঙুল চিপতে হবে
ডানদিকের  উপরের চোয়ালের ৫ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে ডান হাতের  অনামিকা (C) আঙুল চিপতে হবে
আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
তবে শিরোনামটা ভালোভাবে খেয়াল করবেন আমি বলেছি “দাঁত যন্ত্রণা : ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে”
সেরে যাবে বলিনি।এটা আপনাকে দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করবে।
তবে আপনাকে কতকগুলো টিপস আমি দিতে পারি
১। দিনে অন্ততঃ তিনবার দাঁত মাজুন। সকালে রাত্রে দুই বার ব্রাশের সাহায্যে। আর দিনের কোনো একটা সময়ে আঙুলের সাহায্যে। আঙুল দিয়ে মাজার ফলে দাঁত ও দাঁতের গোড়ায় মেসেজ হয়ে যাবে যা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করবে।
২। ব্রাশ দিয়ে মাজার সময় বেশি করে উপর নিচ অনুযায়ী মাজুন। আর্থাৎ উপরের পাটির দাঁত থেকে নিচের পাটির দাঁতের দিকে। এরপর পাশাপাশি মাজুন। এরপর দাঁতের ভিতরের দিকটাও মেজে নিন।
৩। আর এবার যেটা বলব সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ-রাত্রে খাবার পর দাঁতমাজার পরে একগ্লাস গরম জল করে তার মধ্যে আড়াই চামচ মতো লবণ বা যতটুকু আপনি সহ্য করতে পারবেন ততটুকুই লবণ দিয়ে কুলকুচি করে ফেলেদিন।এতে আপনার মুখ ও দাঁত জীবানমুক্ত ও দীর্ঘজীবি হবে। (তবে সাবধান –যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেসার আছে তারা এটা করতে যাবেন না বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করবেন।)

ওজন বাড়ানোর উপায় (হার্ডগেইনারদের জন্য)

অনেকেই আছেন যারা অনেক খাওয়া এবং ব্যায়াম করার পরও সেই রোগাই থেকে যান; ওজন একটুও বাড়ে না (হার্ডগেইনার)- এই পদ্ধতিটি বিশেষ ভাবে তাদের জন্য।

জিমে ব্যায়াম করে ওজন বাড়াতে গেলে শুধু পেশী বাড়বে, ফ্যাট বাড়বে না- এমন হবে না। পেশীর সাথে ফ্যাটও বাড়বে। মোটামুটি হিসাবে ৬০% পেশী এবং ৪০% ফ্যাট বাড়ে। পরে এই ফ্যাট ভিন্ন লাইট ওয়েট ব্যায়াম এবং দৌড়িয়ে ঝরিয়ে ফেলতে হয়। বডিবিল্ডাররা এভাবেই দিন দিন ওজন বাড়ান।
অনেক খেলেও কাদের ওজন বাড়ে না- সেটা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক—
যারা খুবই রোগা, অনেক খাওয়ার পরও যাদের ওজন বাড়ে না তাদেরকে বলা হয় হার্ডগেইনার (Hard gainer)- তাদের মেটাবলিজম (সহজ বাংলায় হজমশক্তি) খুব হাই বলে খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই বার্ণ হয়ে যায়, তাই পুষ্টি গায়ে লাগে না। আবার যারা একটু খেলেই মেটা হয়ে যান (এদের সংখ্যাই বেশী)- তাদের মেটাবলিজম খুব লো।
মেটাবলিজম নিয়ে যখন কথা উঠেছে, তখন মাঝখানে এটা নিয়ে কিছু বলা যাক—
হজমশক্তি সবার এক হয় না। এটা অনেকটাই জন্মগত। তবে খুব হাই বা খুব লো- দুইটাই খারাপ। ভালো হলো মাঝামাঝি অবস্থানটা।

কিন্তু মেটাবলিজম ভালো করার উপায় কি?
আমাদের শরীর প্রতিঘন্টায় একটা নির্দিষ্ট পরিমান ক্যালরি বার্ণ করে। সাধারণত কিছু না করা অবস্থায় প্রতি ঘন্টায় ধরুন ৭৫ ক্যালরির মত। সেই হিসাবে একজন সুস্থ-সবল পরিপূর্ণ বয়স্ক মানুষের দিনে প্রায় ১৮০০ ক্যালরি পরিমান খাদ্য দরকার হয়। কিন্তু এখন কথা উঠতে পারে যে তাহলে এতবার না খেয়ে একবার ১৮০০ ক্যালরি খেলেই তো হয়।
কিন্তু না! কেননা আমাদের শরীর একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত একটা নির্দিষ্ট পরিমান ক্যালরি গ্রহণ করতে পারে। তার বেশী হলে শরীর অটোমেটিকভাবে বাকি ক্যালরিগুলো ফ্যাট হিসাবে শরীরের জমা করে রাখবে।
বর্তমানে এই “নির্দিষ্ট সময়” বলতে ৩ ঘন্টার কিছু কম সময়কে ধরা হয়। কেননা একবার খেলে সেটা হজম হতে মোটামুটি আড়াই থেকে ৩ ঘন্টা লাগার কথা। যেহেতু ঘুমের মধ্যে খাওয়া সম্ভব নয় সেহেতু ঘুম বাদে বাকি সময়টাতে আমাদের সারাদিনের ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে।
ধরা যাক, উচ্চতা ৫ফুট ৬ইঞ্চি এবং ওজন ১৫০ পাউণ্ড বা ৬৭ কেজি ওজনের কেউ আলাদা ভাবে যদি শারীরিক পরিশ্রম না করে অর্থাৎ ওজন কমাতেও চান না বা বাড়াতেও চান না, তার দৈনন্দিন খাবারের চাহিদা ১৮০০ ক্যালরি। এখন প্রতি ঘন্টায় তো ৭৫ ক্যালরি করে খাওয়া সম্ভব নয়। আর একবার খেলে সেটা হজম হতে মোটামুটি আড়াই থেকে ৩ ঘন্টা লাগার কথা। এই সময়টাতে আপনার শরীরের চাহিদা হবে ৭৫*৩=২২৫ ক্যালরি। ঘুমের সময়টা যোগ করে এটাকে ৩০০ ক্যালরি ধরা হলো।
তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি আড়াই/তিন ঘন্টা করে ৬ বারে ৩০০ ক্যালরি করে খেলে ১৮০০ ক্যালরি পূর্ণ করা সম্ভব।
৩০০ ক্যালরি খাবার ৩ ঘন্টায় হজম হয়ে গেলে ৩ ঘন্টা পর একটা সুস্থ্য-স্বাভাবিক শরীর আবার নতুন খাবারের অপেক্ষায় থাকবে।
এইবার শরীরের ম্যাজিক একটু ভালো করে খেয়াল করুন—
মানুষ না খেয়ে থাকলে শরীর প্রথমে শরীরে সঞ্চিত চর্বি বার্ণ করে শক্তি জোগাবে। ধীরে ধীরে পেশী বার্ণ হতে শুরু করবে। এভাবে শরীর ক্ষয় হবে এবং মানুষ দিন দিন রোগা হতে শুরু করবে।
১. আপনি যদি ৩ ঘন্টায় ৩০০-র বদলে ৩০০+ ক্যালরি গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীর ৩ ঘন্টায় ৩০০ ক্যালরি বার্ণ করে শরীরের শক্তি যোগাবে। বাকি ক্যালরি সোজা ফ্যাট হিসাবে জমা করতে শুরু করবে। (ছেলেদের বেলায় তলপেট থেকে এবং মেয়েদের বেলায় নিতম্ব এবং উরু থেকে জমা শুরু হবে।)
২. আপনি যদি ৩ বার খান, তাহলে গড়ে ৫-৬ ঘন্টা পর পর ৬০০ ক্যালরি করে খেতে হবে। ৩ ঘন্টায় ৩০০ ক্যালরি ঠিকমতো হজম হবে, বাকি খাবার ঠিকমতো হজম না হয়ে ফ্যাট হতে শুরু করবে এবং এই পরের ৩ ঘন্টা শরীর দূর্বল লাগতে শুরু করবে।
৩. শরীর যখন দেখবে আপনি ৩ ঘন্টা পর আবার খাবার দিচ্ছেন না তখন সে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করবে এবং সেটা ফ্যাট হিসাবে। এভাবে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মিত হতে শুরু করলে মেটাবলিজমের ১২টা বেজে যাবে।
৪. খাওয়া হজম হওয়া মাত্রই যদি আবার খাবার দেন (৩ ঘন্টা পর পর) তখন শরীরের আর বাড়তি কষ্ট করে অভ্যন্তরীন শক্তি সঞ্চয় করতে হবে না অর্থাৎ ফ্যাট জমাবে না। তখন শরীর পুরো দৃষ্টি দেবে আপনার বাহ্যিক কাজের উপর। মানুষ এসময়ই “কাজ-কর্মে বল” পায় বলে।
অর্থাৎ হজমশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত অল্প অল্প করে ঘনঘন করে খেতে হবে।
কিন্তু কি খাবেন?
অবশ্যই ব্যালান্সড ফুট! অর্থাৎ প্রতিবার খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের সমন্বয় থাকতে হবে। মোটামুটি ৪০% প্রোটিন, ৩০% কার্ব, ৩০% ফ্যাট হতে হবে।
মাছ, মাংশ, ডিম, দুধ, টক দই, লাল চালের ভাত, আটার রুটি, শাকসবজি, ফলমূল, প্রচুর পানি।
কি খাবেন না?
সাদা ভাত, গোল আলু, ময়দা, সুগার, সোডিয়াম, এলকোহল, ক্যাফেইন, নিকোটিন, প্রসেসড ফুড, ক্যান ফুড, তৈলাক্ত ও মসলাজাতীয় খাবার।
কি ধরনের ব্যায়াম করবে?
সাধারণ ভাবে জিমে মানুষ এমন ওয়েট নেয় যা দিয়ে প্রতি সেটে ১০ থেকে ১৫ রেপস্‌ দিতে পারে। কিন্তু ওজন বাড়াতে হলে এমন ওয়েট নিতে হবে যা দিয়ে প্রতিবারে ৪ থেকে ৭ রেপস্‌ দিতে পারবেন। মেশিন ব্যবহার না করে ফ্রি ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম করতে হবে। আর এমন সব ব্যায়াম করতে হবে সেসব ব্যায়ামে একই সাথে একাধিক পেশীতে চাপ পড়ে। এগুলোকে “কোর” বা “কম্পাউণ্ড” এক্সারসাইজ বলে। যেমন—
১. Bench Presses (বেঞ্চ প্রেস) – বুক, কাঁধ, বাহু (ট্রাইসেপ)
২. Overhead Presses (ওভারহেড প্রেস) – কাঁধ, বাহু (ট্রাইসেপ)
৩. Pull-ups/Rows (পুল-আপ / রো) – পিঠ, বাহু (বাইসেপ)
৪. Squats (স্কোয়াট) – পা, পিঠের নিম্নভাগ
৫. Deadlifts (ডেডলিফট) – পা, পিঠ, কাঁধ
৬. Bar Dips (বার ডিপ) – কাঁধ, বুক, বাহু (ট্রাইসেপ)

ঘুম কেন জরুরী?
প্রতিদিন ৮-৯ ঘন্টা বিশ্রাম বা ঘুমাতে পারলে ভালো হয়। কেননা মানুষ ঘুমের মধ্যেই বড় হয়। জিমে গিয়ে শুধু মাসলে পাম্প করা হয় কিন্তু শরীর পূর্ণ বিশ্রামে থাকার সময়ই পেশিগুলো গ্রো করবে।
এতক্ষন নিশ্চয়ই কিছু সাধারণ ধারণা পেয়েছেন। কিন্তু সব কিছুর সমন্বয় কিভাবে ঘটাবেন, অর্থাৎ ওজনটা বাড়াতে হার্ডগেইনাররা ঠিক কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবেন সেটা সংক্ষেপে আলোচনা করা হচ্ছে—
পদ্ধতিটাকে সোজা বাংলায় বললে- দুই পা সামনে আগাতে হবে, এক পা পিছাতে হবে।
প্রথম দুই সপ্তাহে যত পারেন (কমপক্ষে ২৫০০ ক্যালরি), খাবেন। খুব একটা মেপে খেতে হবে না। তবে প্রোটিনটা যেন যথেষ্ট হয়। প্রতি ২ ঘন্টা পর পর কিছু না কিছু খাবেন। এবং সেই সাথে প্রচুর পানি।
জিমে গিয়ে খুব হার্ড ব্যায়াম করতে হবে। ওয়েট বেশী, রেপস কম। সপ্তাহে ৩ দিন (একদিন পর পর) ব্যায়াম করবেন। প্রতিটা সেশন ৬০ মিনিট থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে রাখবেন। কেননা এর পরে শরীর ক্লান্ত হয়ে আসবে। তখন ব্যায়াম চালিয়ে গেলে পেশী ক্ষয় হবে। জিম শুরুর দুইঘন্টা আগে খাবেন এবং শেষ হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে অবশ্যই আবার খাবেন। যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেবেন, ঘুমাবেন।
প্রথম দিন – বুক, পিঠ এবং পেটের ব্যায়াম।
দ্বিতীয় দিন- পা এবং পেট।
তৃতীয় দিন – কাঁধ, বাহু, পেট।
(বিস্তারিত অন্য পোস্টে দেয়া হবে)
দুই সপ্তাহ ঠিক মতো সব কিছু অনুসরন করলে কমপক্ষে এক থেকে দুইকেজি ওজন বাড়বে। কিন্তু এরপর আর যতই খান, আপনার শরীর আর নিতে পারবেন না কেননা আপনার এনাবলিক হরমোন আবার নরমাল পর্যায়ে চলে আসবে। তখন শরীরের বৃদ্ধিও কমে আসবে। তাই এর পর পিছিয়ে যেতে হবে অর্থাৎ পরের সপ্তাহে খাওয়া অনেক কমিয়ে দিতে হবে। ১৩০০-১৫০০ ক্যালরির মত খাবেন। খাদ্য খুব ক্লিন হতে হবে। ফ্যাট আর কার্ব তুলনামূলকভাবে কম খাবেন।
এই সপ্তাহের জিমের সেশনগুলো এমন হতে পারে—
সেশন ১ – বুক, কাঁধ, ট্রাইসেপ, পেট
সেশন ২ – পা, পেট
সেশন ৩ – পিঠ, বাইসেপ, পেট
(বিস্তারিত অন্য পোস্টে দেয়া হবে)
খুব হালকা ওয়েট নিয়ে ১০ থেকে ১৫ রেপস্‌ করে দেবেন। শরীরের উপর খুব চাপ দেবেন না। কেননা এই সপ্তাহে আপনি খাচ্ছেন কম। এই সপ্তাহটা হবে শরীরের মেইনটেনেন্স পর্ব মাত্র। এই পর্বে শরীর থেকে কিছুটা পানি বেরিয়ে যাবে তাই একটু হালকা হয়ে যাবেন। একটু ওজন কমে যাবে। এটা দেখে ভেঙে পড়বেন না। কেননা পরের দুই সপ্তাহে বেশী খাবার ও হার্ড ব্যায়ামের ফলে শরীর আবার ফুলতে শুরু করবে। পেটে খাবার পড়া মাত্রই শরীর স্পঞ্জের মত চুষে নেবে।
এভাবে প্রতি ৩ সপ্তাহে এক-দুই কেজি করে ওজন বাড়বে। এই টেকনিকটা যতদিন না আপনার ওজন পর্যাপ্তর বেশি হচ্ছে ততদিন চালিয়ে যাবেন। ধরুন আপনার ওজন দরকার ৭০ কেজি, তাহলে ৭৫ কেজি পর্যন্ত বাড়াবেন। তারপর অন্য টেকনিকে ব্যায়াম করে বাকি ৫ কেজি, যার বেশির ভাগই হবে ফ্যাট, ঝরিয়ে ফেলতে হবে।
(এটা অন্য পোস্টে আলোচনা করা যাবে।)
এছাড়া আপনাদের দরকার অনুসারে পর্যায়ক্রমে আরও কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হতে পারে, যেমন—
ওয়েট গেইন ডায়েট
ফ্যাট লস ডায়েট
ওয়েট গেইন এক্সারসাইজ
ফ্যাট লস এক্সারসাইজ
ম্যাস ট্রেইনিং রুটিন
ফ্যাট লস ট্রেইনিং রুটিন
খাবারে ক্যালরির পরিমান
ওয়ার্কআউট রুট

বাড়তি ওজন কমানোর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

বাড়তি ওজন আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ওজন কমান প্রাকৃতিক নিয়মে। এ নিয়ম স্বাস্থ্যসম্মত ও ঝুঁকিবিহীন। কয়েকটি কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে ওজন কমান আর ঝুঁকিমুক্ত থাকুন বিভিন্ন মারাত্মক রোগ থেকে।
তাজা ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি হলো কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য, তাই যাঁদের ওজন বেশি তাঁদের বেশি করে এগুলো খাওয়া উচিত।
undefined
 অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
 দুধযুক্ত খাবার, যেমন: পনির, মাখন—এগুলো পরিহার করতে হবে। কারণ, এগুলো উচ্চ চর্বিযুক্ত। সঙ্গে মাংস ও আমিষজাতীয় খাবারও নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে।
 উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন—চাল, আলু অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খেতে হবে, আর গম (আটা) খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
 তিক্ত স্বাদযুক্ত সবজি ও করলা খুবই কার্যকর বাড়তি ওজন কমানোর জন্য।
 মসলাজাতীয় খাবার, যেমন: আদা, দারচিনি, কালো মরিচ—এগুলো প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে। মসলাজাতীয় খাবার হলো ওজন কমানোর কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।
 ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওজন কমানোর আরেকটি ভালো উপায় হলো মধু খাওয়া। মধু দেহের অতিরিক্ত জমানো চর্বিকে রক্ত চলাচলে পাঠিয়ে শক্তি উৎপাদন করে, যা ব্যবহূত হয় দেহের স্বাভাবিক কার্যকলাপে। মধু খাওয়া প্রথমে শুরু করতে পারেন অল্প পরিমাণে, যেমন—এক চামচ বা ১০০ গ্রাম, যা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন।
 যাঁরা পথ্য নিয়ন্ত্রণের নিয়ম মেনে চলেন বা দিনের পর দিন উপবাস করেন ওজন কমানোর জন্য, তাঁদের জন্য মধু ও লেবুর রস খুবই উপকারী।
এটি কোনো ধরনের শক্তি ও ক্ষুধা নষ্ট না করে। এ ধরনের চিকিৎসায় এক চামচ টাটকা মধুর সঙ্গে আধা চামচ কাঁচা লেবুর রস আধা গ্লাস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার খেতে হবে।
 বাঁধাকপিকে ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়। বাঁধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়। এ জন্য বাঁধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে। এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়।
undefined
 শারীরিক ব্যায়াম হলো ওজন কমানোর সবচেয়ে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। ব্যায়াম শরীরের জমাকৃত ক্যালরি ব্যবহার করতে সাহায্য করে, যা চর্বি হিসেবে জমা থাকে। তা ছাড়া ব্যায়াম পেশির টান কমায় এবং শক্তি বৃদ্ধি করে। ব্যায়াম শুরু করতে পারেন হাঁটাচলা করে, যা আস্তে আস্তে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা ও অন্যান্য শারীরিক কসরত করে নিয়মিতভাবে চালিয়ে যেতে পারেন।
 পাশাপাশি পথ্য নিয়ন্ত্রণের এ নিয়ম মেনে চলতে পারেন। পরিমাণমতো ভাগ করে প্রতিদিন খাবার খাবেন এবং অবশ্যই যেন প্রতিটি ভাগ অল্প পরিমাণে হয়। প্রতিটি ভাগে যে পরিমাণ ভাত থাকবে, তা যেন কোনোভাবেই এক মুঠের বেশি না হয়। নিয়মিতভাবে ছোট ছোট ভাগে (চার-পাঁচ ঘণ্টা অন্তর) খাবার খেলে আপনার খাবার পরিপাক ও রাসায়নিক রূপান্তর বাড়বে, যা দেহে চর্বির জমাট বাঁধায় বাধা দেবে। সঙ্গে অবশ্যই ব্যায়াম চালিয়ে যাবেন আপনার বর্ধিত ওজন কমাতে।
খুবই সাধারণ ও উপকারী এই নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ফলাফল নিজেই উপলব্ধি করুন।

খাদ্য এবং পুষ্টি উপাদান (ক্যালরি, প্রোটিন, কার্ব, ফ্যাট)



যেসব খাবার বেশি ভূমিকা রাখে, এবং কোন খাবারে কি পরিমান ক্যালরি, প্রোটিন, কার্ব, ফ্যাট আছে, তার একটা তালিকা দেয়া হলো। তালিকাটি অসম্পূর্ণ।
  • ১ গ্রাম প্রোটিন =  ৪ ক্যালরি
    ১ গ্রাম কার্ব = ৪ ক্যালরি
    ১ গ্রাম ফ্যাট = ৯ ক্যালরি
  • খাদ্য (৩০গ্রাম)পরিমানক্যালরিপ্রোটিন (গ্রাম)কার্ব (গ্রাম)ফ্যাট (গ্রাম)
    চিকেন ব্রেস্ট (চামড়া ছাড়া)
    ৩৫
    গরুর মাংশ
    ৭৫
    চিংড়ি (মাঝারি)২টি৩০
    টার্কি ব্রেস্ট
    ২৮
    টুনা ফিশ
    ৩৫
    শ্যামন ফিশ
    ৪০






    ডিমের সাদা অংশ১টি১৬
    ডিম১টি৭৫
    দুধ (১কাপ)২৪০মিলি১৫০১২
    টক দই (১কাপ)২৪০মিলি১৬০১০১৪












    তিলের তেল (১ টে.চা)১৫মি.লি১২৮১৪
    অলিভ ওয়েল
    ১৩২১৪
    সূর্যমুখীর তেল
    ১২০১৪
    বাদাম৩০গ্রাম১৭২১৫
    পিনাট বাটার১৫মি.লি১০০






    মিষ্টি আলু (মাঝারি)১টি১১৫


    গোল আলু২০০গ্রাম২২০৫১
    লাল চালের ভাত১/২ কাপ১০৯২৩
    সাদা চালের ভাত১/২ কাপ১৩৪৩০
    সাদা আটার রুটি১টি৭২১২
    লাল আটার রুটি১টি৬০১১
    ডাল১ কাপ২৩০১৮৪০
    ওটমীল১ কাপ৭৩১৩
    পাস্তা৩০গ্রাম১০৫২০






    ব্রকলি১কাপ২৪.৫
    ফুলকপি১কাপ২৪
    বেগুন১কাপ২৭
    শিম১কাপ৪৪১০
    ঢেঁড়শ১কাপ৫০১১
    পেঁয়াজ১কাপ২৫
    টমেটো (মাঝারি)১টি২৫






    সবুজ আপেল১টি৮১২১
    কলা১টি১০৫২৭
    আম
    ৭০১৭
























  • বিঃদ্রঃ যারা পেশি বাড়াতে চান কিন্তু ফ্যাট বাড়াতে চান না, তারা সাদা ভাত, ময়দা, গোল আলু, যে কোন সুগার জাতীয় খাবার, লবনাক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার, মসলা জাতীয় খাবার- এসব এড়িয়ে চলবেন।
  • ভুল হলে ক্ষমা করবেন

গরমের সুস্থ থাকার কিছু বাঞ্ছনীয় সূত্র এবং প্রতিকার অবশ্যই দেখুন

চৈত্রের শুরু থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে প্রচন্ড গরম পড়ে। এই কাঠফাটা রোদের মাঝেই জীবন ও জীবিকার তাগিদে ছুটে চলতে হয় অবিরাম। এই গরমে সুস্থ থাকতে আমাদের প্রত্যেকেই কিছুটা সচেতন হতে হবে বা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। গরমে কীভাবে সুস্থ থাকা যায়, তা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। লিখেছেন সাবেরা সাথী
undefined

গরমে রোগ ব্যাধি

ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে আমাদের কাছে প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক। তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দিক রয়েছে। একটু সচেতন থাকলেই এর মন্দ দিক অর্থাৎ রোগ-ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এই গরমে চলতে ফিরতে আমরা কমবেশি সবাই শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি। সঠিক সময়ে সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলোর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

হিট স্ট্রোক

এই গরমে ঘামের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের প্রচুর পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায়। ফলে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়, যা শরীরকে করে তোলে অবসন্ন, পরিশ্রান্ত। এতে মাথাঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন অনেকেই। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মৃত্যুও হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

প্রতিকার

এই গরমে যতটুকু সম্ভব রোদে কম সময় অবস্থান করতে হবে। শরীর অবসন্ন হওয়া মাত্রই ছায়াযুক্ত বা শীতল কোন স্থানে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। ঠান্ডা পানি ভেজানো কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে, যাতে শরীরের লবণ ও পানির শূণ্যতা দূর করতে পারে। অজ্ঞান হলে বা মাথা ঘোরালে মাথায় পানি ঢালতে হবে। যদি তাতেও অবস্থার উন্নতি না হয়, তবে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

পেটের পীড়া

গরমের সময় অত্যধিক তাপমাত্রায় খাদ্য দ্রব্য তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া গরম থেকে স্বস্তি পেতে আমরা চলার পথে অনেক কিছুই খেয়ে থাকি, যেগুলোতে হয়তো রোগজীবাণু থাকতে পারে। অন্যদিকে গরমের সময় আমাদের দেশে চরম পানি সংকট থাকায় বাসায় বা হোটেলে অনেক সময় থালা-বাসন সঠিকভাবে সাবান দিয়ে পরিস্কার করা হয় না। এসব কারণে অনেকেই এ সময় পেটের পীড়ায় ভুগে থাকেন, যাকে আমরা বলি ফুড পয়জনিং। এ থেকে বমি, ডায়রিয়াসহ অনেক রোগেই আমরা আক্রান্ত হতে পারি।

প্রতিকার

পেটের এইসব পীড়া থেকে বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই বাইরের খোলা খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। আর খেতেই যদি হয় তবে মানসম্পন্ন রেস্টুরেন্টে খাওয়া ভাল। বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। খাবার আগে অবশ্যই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, শরবত, ফলের রস কিংবা ঠান্ডা পানীয় পান করতে হবে। পাতলা পায়খানা শুরু হলে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। অবস্থা বেশি খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

ত্বকের সমস্যা

গরমের সময় অনেকেরই ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। ঘাম থেকে ঘামাচি হওয়া, তারপর সেই ঘামাচি চুলকাতে গিয়ে নখের আঁচড়ে ঘা তৈরি করা সাধারণ সমস্যা। আবার পানি সংকটের কারণে অনেকে গোসলের সময় সাবান কম ব্যবহার করে থাকেন, যার ফলে গোসলের পরও শরীর অপরিচ্ছন্ন থাকে। সেইসাথে রোদে পুড়ে ত্বক কালো হওয়া বা অনেকের ত্বকে ছোপ ছোপ দাগও পড়ে।

প্রতিকার

ত্বকের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে সবসময় চেষ্টা করতে হবে রোদে কম অবস্থানের। বিশেষ করে ভর দুপুরে তো নয়ই। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসেই সাবান দিয়ে ভালভাবে গোসল করতে হবে। শরীরকে সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে (কালো বাদ দিয়ে)। ঘামের কাপড় বেশিক্ষণ শরীরে রাখা যাবে না। সবসময় হালকা রঙের কাপড় পরতে হবে। ভাল প্রতিষ্ঠানের সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। চোখের প্রদাহ জনিত সমস্যা থাকলে সানগ্লাস ব্যবহার করা ভাল। আর ঘামাচি হলে ঘামাচি পাউডার লাগাতে হবে। অনেকেরই এসময় সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পরিশেষে বলতে চাই এই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া যেমন স্বাভাবিক, তেমনি একটু সচেতন হয়ে চললেই সুস্থ থাকা সম্ভব। শুধু প্রয়োজন আপনার স্বাস্থ্য সচেতনতা। তাই সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

জেনে নিন বিভিন্ন রক্তের গ্রুপের মানুষকে

“o+”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বচ্ছ দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্খী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যান্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
“O-”এই গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।
“A+”এই ব্লাডগ্রুপের মানুষেরা গোছগাছ প্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা আত্নকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
“A-”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগী। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশি। এদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন।
“B+”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান,সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী,আবেগ প্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।
“B-”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা অসংযমী, অপরিনামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে।
“AB+”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত সুবিবেচক, বু্দ্ধি সম্পন্ন, হিসেবী, পরিকল্পনাবাদী, সৎ কৌশলী সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।
“AB-”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুব বেশি রক্ষনশীল ও বড় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।
সুত্র: ৯০এর দশকের মাঝামাঝি প্রকাশিত “You and your Blood type” গ্রন্থ

মধু সম্পর্কে জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

আসসালামু-আলাইকুমঃ কেমন আছেন সবাই , আশা করি সবাই ভাল আছ, ভাল থাক, সুন্দর থাক, স্বুস্থ থাক , নিরাপদে থাক এটাই আমি সব সময় প্রত্যাশা করি, আপনাদের সর্ব সাফল্য আমি একান্ত ভাবেই কামনা করি , আজ আমি আপনাদের সাথে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে শুরু করা যাক, আমরা জানার চেষ্টা করব এখন মধুর উপকারিতা কি ?
1
১) মধুর উপকারিতাঃ-
বিখ্যাত মুসলিম চিকিৎসক ইবনে সিনা তাঁর বিশ্বখ্যাত- Medical Test book The canon of medicine গ্রন্হে বহু রোগের প্রতিষেধক হিসেবে মধু ব্যবহারের সুপারিশ করেছেন। তিনি মধুর উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন, মধু আপনাকে সুখী করে, পরিপাকে সহায়তা করে, ঠাণ্ডার উপশম করে, ক্ষুধা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও তীক্ষ্ম করে, জিহ্বা স্পষ্ট করে এবং যৌবন রক্ষা করে। নিম্নে মধুর কয়েকটি উপকারিতা পত্রস্থ করা হলো।
মধু সর্দি, কাশি, জ্বর, হাপানি, হৃদরোগ, পুরনো আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে। এছাড়া মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য।
- মধুতে বিভিন্ন সূক্ষ্ম পুষ্টি উপাদান ও ভেষজ গুণ রয়েছে।
- মৌমাছি ফুলের পরাগায়নে সাহায্য করে শস্য উৎপাদন বাড়ায়।
- মৌচাক থেকে যে মোম পাওয়া যায় তা বিভিন্ন শিল্পজাত দ্রব্য যেমন- লোশন, সাবান, কৃম ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
- রূপচর্চার বিভিন্ন কাজে মধু ব্যবহার করা হয়।
- দাঁত ও ত্বকের সাধারণ অসুখ-বিসুখ হতে শুরু করে হৃৎযন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র, কোলেস্টরনের আধিক্য প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে মধু সত্যই এক মহৌষধ।
২) খাঁটি মধুর বৈশিষ্ট্যঃ-
- খাঁটি মধুতে কখনো কটু গন্ধ থাকে না।
- মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কোনো বিষাক্ত উপাদান প্রাকৃতিক গাছে থাকলেও তার প্রভাব মধুতে থাকে না।
- মধু সংরক্ষণে কোনো পৃজারভেটিভ ব্যবহৃত হয় না। কারণ মধু নিজেই পৃজারভেটিভ গুণাগুণ সম্পন্ন পুষ্টিতে ভরপুর খাদ্য।
- মধু উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, নিষ্কাশন, সংরক্ষণ ও বোতলজাতকরণের সময় অন্য কোনো পদার্থের সংমিশ্রণ প্রয়োজন হয় না।
- খাটি মধু পানির গ্লাসে ড্রপ আকারে ছাড়লে তা সরাসরি ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যায়।
৩) খাঁটি মধুর সহজ পরীক্ষাঃ-
স্বচ্ছ কাচের গ্লাসের পানিতে খাটি মধু ঢেলে দিলে সহজে পানির সঙ্গে না মিশে গ্লাসের তলায় তলানি হিসেবে বসে থাকে। এ অবস্থা দুই-তিন ঘণ্টা স্থায়ী থাকে। কারণ মধুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে চার-পাচ গুণ ভারি। আর যদি ভেজাল হয় তবে সহজে পানির সঙ্গে মিশে যাবে।